শুক্রবার জার্মানি ও টিকা জোট গ্যাভি আয়োজিত ‘দ্য ২০২২ গ্যাভি কোভ্যাক্স এএমসি সামিট: ব্রেক কোভিড নাউ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে ধারণ করা ভিডিও বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত কিছু দেশ এখনও তাদের টিকা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন থেকে অনেক দূরে রয়ে গেছে। এই দেশগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষ মনোযোগ এবং সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।”
সব দেশে টিকাদানে স্টেকহোল্ডারদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি উন্নয়ন অংশীদারদের কোভ্যাক্স এএমসিতে তাদের অনুদান এবং ভ্যাকসিন সহযোগিতা বাড়ানোর জন্যও আহ্বান জানাচ্ছি।”
জনস্বাস্থ্যের জরুরি পরিস্থিতিতে কার্যকর সাড়াদানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে কোভিড-১৯ মহামারী শক্তিশালী করেছে বলে মনে করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি আমাদের একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম দিচ্ছে। ভবিষ্যতের মহামারী মোকাবেলায় আমাদের এই প্ল্যাটফর্মটিকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়ে যেতে হবে।”
একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা না থাকলে বাংলাদেশে মহামারীর প্রভাব ‘ধ্বংসাত্মক’ হতে পারত মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহামারীতে আমরা সংক্রমণকে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি এবং এখন সংক্রমণ অনেকাংশে কমিয়ে আনতে পেরেছি।
“এ পর্যন্ত বাংলাদেশ তার লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশের বেশি জনসংখ্যাকে বিনামূল্যে টিকা দিয়েছে।”
সরকারপ্রধান বলেন, “গ্যাভির সাথে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব এই সাফল্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কোভ্যাক্স এএমসি প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহত সমর্থনের জন্য উন্মুখ।”
“আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি, ভ্যাকসিনকে বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের সম্পদ হিসাবে বিবেচনা করা উচিৎ।”
ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানের সহ-সভাপতি ছিলেন জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রী সোভেনজা শুলজ এবং গ্যাভি বোর্ডের চেয়ারম্যান জোসে ম্যানুয়েল বারোসো।
উদ্বোধনী অধিবেশনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল এবং গ্যাভি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জোসে ম্যানুয়েল বারোসো বক্তব্য রাখেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজলা বাউডেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ধারণ করা ভিডিও বক্তৃতা সম্মেলনে দেখানো হয়।