ক্যাটাগরি

হৃদয় চন্দ্র মুক্তি না পেলে ‘আমাকেও গ্রেপ্তার করা হোক’: জাফর ইকবাল

ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সাবেক এই অধ্যাপক বলেছেন, হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে মুক্তি না দেওয়া হলে তাকেও যেন গ্রেপ্তার করা হয়।

“মুন্সীগঞ্জের শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের সাথে যা হয়েছে তা আমার জন্য অত্যন্ত দুঃখের। দুঃখের এই কারণে যে, আমি শিক্ষকতা জীবনে বিজ্ঞানই পড়িয়েছি ছাত্র-ছাত্রীদের। আরও বেশি দুঃখের কারণ এই জন্য যে, দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বই, যেটি বাংলাদেশের হাইস্কুল পর্যায়ে পড়ানো হয় সেটি সম্পাদনার সাথে আমি জড়িত।”

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ বছরের শিক্ষকতা জীবনের পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে অবসরে যান জাফর ইকবাল। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি ছাড়াও বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ক লেখার কারণে তরুণদের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয়।

তিনি বলেন, “আমার সম্পাদনা বা রচিত একটি বই বাচ্চাদের যেখানে এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি, এই বই পড়ান এমন একজন শিক্ষককে করাগারে যেতে হয়েছে, এই দুঃখের তো কোনো শেষ নাই।


শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল কারাগারে: ‘রাষ্ট্র কি যুক্তি দিয়ে চলছে?’


মুন্সীগঞ্জের শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের মুক্তির দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন


বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি

“আমি শুধু একটি কথাই বলতে চাই শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে সসম্মানে মুক্তি দিতে হবে। নইলে আমাকেও যেন গ্রেপ্তার করা হয়।”

গত ২০ মার্চ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান পড়ানোর সময় প্রসঙ্গক্রমে শিক্ষার্থীর প্রশ্নে ধর্ম নিয়ে কথা বলেন।

সেই ক্লাসের কথা কয়েকজন শিক্ষার্থী রেকর্ড করে এবং পরে ধর্ম নিয়ে ‘আপত্তিকর’ কথা বলার অভিযোগ তুলে কিছু শিক্ষার্থী এলাকায় হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে কিছু লোক। ওই অবস্থায় এ শিক্ষককে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়।

ঘটনার দুদিন পর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী (ইলেক্ট্রশিয়ান) মো. আসাদ বাদী হয়ে হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ২৩ মার্চ তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে জেল হাজতে পাঠানো হয়।