সেন্ট
জর্জেস পার্কে শনিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৩৯। ৫৫
বলে ৫ চারে ৩০ রান নিয়ে খেলছেন মুশফিকুর রহিম। ২০ বলে ১ চারে ইয়াসির আলী চৌধুরির রান
৮।
বাংলাদেশ
এখনও পিছিয়ে ৩১৪ রানে।
দেশের
বাইরে তাইজুল ইসলামের (৬/১৩৫) ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের পরও প্রথম ইনিংসে ৪৫৩ রানের
সংগ্রহ গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে সবচেয়ে বড় অবদান কেশভ মহারাজের। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে
আটে নেমে ৯৫ বলে তিন ছক্কা ও ৯ চারে তিনি খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ৮৪ রানের ইনিংস।
চা-বিরতির
পর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশ হারায় আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান
জয়কে। তরুণ এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান খেলতে পারেন কেবল ২ বল। অলিভিয়েরের প্রথম আউট
সুইঙ্গার একটুর জন্য তার ব্যাটের কানা নেয়নি। পরেরটি কানা ছুঁয়ে স্লিপে জমা পড়ে সারেল
এরউইয়ার হাতে।
প্রায়
এক বছর পর টেস্টে নামা তামিম খেলছিলেন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট। সাবধানী ব্যাটিংয়ে তাকে
সঙ্গ দিচ্ছিলেন শান্ত। তাদের জুটি সম্ভাবনা জাগাচ্ছিল বড় কিছুর। সেটি হতে দেননি মুল্ডার।
২১তম
ওভারে বোলিংয়ে এসে ৭৯ রানের জুটি ভাঙেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। চমৎকার এক ইনসুইঙ্গারে
বিদায় করেন তামিমকে। বল লেগে ঘুরানোর চেষ্টায় ব্যাটে খেলতে পারেননি বাঁহাতি ওপেনার।
আম্পায়র এলিবডব্লিউ দিলে ফিরে যান রিভিউ না নিয়েই। পরে দেখা গেছে বল লাগতো লেগ স্টাম্পে।
৫৭
বলে ৮ চারে তামিম করেন ৪৭।
পরের
ওভারে প্রায় একইরকম ডেলিভারিতে শান্তকেও এলবিডব্লিউ করে দেন মুল্ডার। আম্পায়ার আবেদনে
সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়ে সফল হন ডিন এলগার।
তামিমের
মতো শান্তও বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আগেভাগেই ব্যাটের মুখ ঘুরিয়ে ফেলেন।
তাই ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। এই বলও লাগতো লেগ স্টাম্পে।
কাছাকাছি
ধরনের একটি ইনসুইঙ্গারে বিদায় নেন মুমিনুল। তামিম-শান্তর মতো লেগে ঘুরাতে যাননি অধিনায়ক।
ডিফেন্স করার চেষ্টায় খেলেন ভুল লাইনে। সিরিজে টানা তিন ইনিংসে দুই অঙ্কে যেতে ব্যর্থ
হওয়া এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এবার করেন ৬।
ক্রিজে
গিয়েই মুল্ডারকে চমৎকার দুটি বাউন্ডারি মারা লিটন দাসও যেতে পারেননি বেশি দূর। পেস
বোলিং অলরাউন্ডারের জায়গায় আক্রমণে এসেই চমৎকার এক ডেলিভারিতে কিপার-ব্যাটসম্যানের
মিডল স্টাম্প উপড়ে ফেলেন অলিভিয়ের।
দিনের
বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন মুশফিক ও ইয়াসির। উইকেট থেকে সহায়তা পেতে শুরু করা স্পিনারদের
দারুণ দৃঢ়তায় সামাল দেন এই দুই জনে। তবে কাজ এখনও অনেক বাকি। ফলো অন এড়াতেই প্রয়োজন
আরও ১১৫ রান।
সংক্ষিপ্ত
স্কোর:
দক্ষিণ
আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১৩৬.২ ওভারে ৪৫৩ (এলগার ৭০, এরউইয়া ২৪, পিটারসেন
৬৪, বাভুমা ৬৭, রিকেলটন ৪২, ভেরেইনা ২২, মুল্ডার ৩৩, মহারাজ ৮৪, হার্মার ১৯, উইলিয়ামস
১৩, অলিভিয়ের ০*; খালেদ ২৯-৬-১০০-৩, মিরাজ ২৬.২-৪-৮৫-১, ইবাদত ২৮-৩-১২১-০, তাইজুল ৫০-১০-১৩৫-৬,
শান্ত ৩-০-৯-০)।
বাংলাদেশ
১ম ইনিংস: ৪১ ওভারে ১৩৯/৫ (তামিম ৪৭, জয় ০, শান্ত ৩৩, মুমিনুল ৬,
মুশফিক ৩০*, লিটন ১১, ইয়াসির ৮*; অলিভিয়ের ৯-৪-১৭-২, উইলিয়ামস ৮-২-৩০-০, হার্মার ৭-১-৩১-০,
মহারাজ ১১-১-৪২-০, মুল্ডার ৬-৩-১৫-৩)।