নতুন চুক্তির প্রক্রিয়া কতটা এগোল, সে বিষয়ে স্কাই স্পোর্টসে শুক্রবার সালাহ বলেন, আপাতত এসব নিয়ে ভাবছেন না তিনি। তার মূল লক্ষ্য দলকে সাফল্য এনে দেওয়া।
“হ্যাঁ বা না, আমি কিছুই বলতে পারব না। তবে আমি কী চাই, সেটা আগেও অনেকবার বলেছি। আর এখন চুক্তির বিষয়ে বেশি ভাবতে পারি না কারণ, দলের জন্য সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’
“দলের এখন জয় প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে…আমি কেবল চুক্তি নিয়ে কথা বলতে পারি না। আমি শুধু দল নিয়ে ভাবতে চাই।’’
লিভারপুলের সঙ্গে সালাহর চুক্তি ২০২৩ সাল পর্যন্ত। তাই এই তারকার সঙ্গে এখনই চুক্তি নবায়ন করা ইংলিশ ক্লাবটির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নয়তো আগামী বছর ফ্রি ট্রান্সফারে সালাহকে ছেড়ে দিতে হতে পারে।
২০১৭ সালে রোমা থেকে লিভারপুলে যোগ দিয়ে সালাহ দ্রুত নিজেকে অ্যানফিল্ডে মানিয়ে নেন। হয়ে ওঠেন একাদশে নিয়মিত ও খুব গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বিশেষ করে গত তিন বছরে ক্লাবটির হয়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ২৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
লিভারপুলও চাইবে না সালাহর মতো তারকাকে হারাতে। তবে সালাহ মনে করছেন, এই মুহূর্তে চুক্তি নিয়ে কথা বলা হবে স্বার্থপরতা।
আগেই লিগ কাপ জিতে নেওয়া লিভারপুল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপেও শিরোপা লড়াইয়ে আছে। এই তিনটি শিরোপাই জিততে পারলে প্রথম ইংলিশ ক্লাব হিসেবে মৌসুমে চার শিরোপা ঘরে তুলবে লিভারপুল। সালাহ আপাতত দলের এই লক্ষ্য পূরণের দিকে মন দিতে চান।
‘‘আমি স্বার্থপর হতে পারি না এবং কেবল আমার বিষয় নিয়েই পড়ে থাকতে পারি না। দল হিসেবে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছি, তাই আমাকে শুধু দল নিয়ে কথা বলতে হবে। দলের জন্য সামনে কী অপেক্ষা করছে, সেদিকে নজর দিতে হবে আর এখন এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’’
‘‘আশা করি, আমরা আরও বেশি ইতিবাচক থাকব। এরপর দেখা যাক, কী হয়।’’
গত ডিসেম্বরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে, লিভারপুলের দেওয়া সপ্তাহে ৪ লাখ পাউন্ডের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন সালাহ। তিনি নাকি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর সমান সপ্তাহে পাঁচ লাখ পাউন্ড বেতন দাবি করেছেন।
ওই খবরের পর সালাহর প্রতি পিএসজিসহ বেশ কয়েকটি ক্লাব আগ্রহী বলেও শোনা যায়। তবে সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, আগে যে পরিমাণ বেতন দাবি করেছিলেন তা থেকে সরে এসেছেন এই স্ট্রাইকার।