ক্যাটাগরি

আরও ভালো ব্যাটসম্যান হয়ে উঠতে চান রশিদ খান

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চার-ছক্কার ঝলক বেশ কবারই দেখিয়েছেন রশিদ। এই সংস্করণে তার ফিফটি আছে ১টি। স্ট্রাইক রেট দেড়শর কাছাকাছি। ওয়ানডেতেও ফিফটি আছে ৫টি, টেস্টে আছে ১টি।

তবে ব্যাটিংয়ের এইটুকু অবদানে তিনি তৃপ্ত নন। রয়টার্সকে তিনি বললেন, ব্যাটিংয়ে নিয়মিত ছাপ রাখার মতো জায়গায় নিজেকে নিয়ে যেতে চান তিনি।

“আমার মনে হয়, এখনকার চেয়ে আরও অনেক ভালো ব্যাটসম্যান হয়ে উঠতে পারি আমি। এই জায়গাটায় আরও দায়িত্ব নেওয়া উচিত আমার। ব্যাটিং নিয়ে কাজ করে চলেছি।”

“গত বছর দুয়েকে ব্যাটিংয়ে আমার প্রতি প্রত্যাশা ক্রমে বাড়ছে যেন গুরুত্বপূর্ণ ২০-২৫ রান করতে পারি। আমি জানি, আমার সেই প্রতিভা ও স্কিল আছে। এখন ব্যাপারটা হলো স্রেফ আত্মবিশ্বাস বয়ে আনা যেন নিয়মিত এটা করতে পারি।”

ব্যাটিংয়ে তার আশা অনেক, আফগান ক্রিকেটের আরেকটি জায়গা নিয়ে আছে আক্ষেপ। এমনিতেই টেস্ট খেলার সুযোগ তাদের আসে কালেভদ্রে। সেখানে একটি টেস্ট খেলার সুযোগ এসেছিল অস্ট্রেলিয়ার মতো অভিজাত ক্রিকেট খেলুড়ে দেশে। আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা ছিলেন রোমাঞ্চিত। কিন্তু সেই রোমাঞ্চ মিলিয়ে গেছে রাজনীতির ঝাপটায়। রশিদের তাই হতাশার শেষ নেই। আরও একবার তিনি আকুতি জানালেন টেস্ট বেশি খেলার সুযোগ চেয়ে।

রশিদ এখন ব্যস্ত আইপিএলে। সেখানেই নানা সাক্ষাৎকারে তার কণ্ঠে বারবার উঠে আসছে টেস্ট আরও বেশি খেলার তাড়না। এবার রয়টার্সকেও তিনি বললেন একই কথা।

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আফগানিস্তানের টেস্ট প্রথমবার পিছিয়ে যায় কোভিডের কারণে। পরেরবার গড়বড় পাকিয়ে যায় তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর। সেই টেস্ট আর আদৌ হবে কিনা, নিশ্চয়তা নেই।

যেমন নিশ্চয়তা নেই, আফগানরা পরের টেস্ট কবে খেলবে। টেস্ট খেলুড়ে দেশ হলেও আদতে কত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার প্রায় ৫ বছরে স্রেফ ৬টি টেস্ট তারা খেলতে পেরেছে। রশিদের কণ্ঠে তাই নানামুখী আক্ষেপ।

“ক্রিকেটার হিসেবে এটা হতাশার (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট না হওয়া), কারণ বড় দলগুলির সঙ্গে খেলার জন্য আমরা মুখিয়ে থাকি। ব্যাপারটা হলো উন্নতি করার এবং নতুন কিছু শেখার। আমরা এই টেস্টের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, কিন্তু কখনও কখনও সবকিছু চাওয়া মতো হয় না। আশা করি, শিগগিরই তাদের সঙ্গে খেলার সুযোগ আসবে।”

টি-টোয়েন্টির জগতে রশিদ মহাতারকা। ৪ ওভারের বোলিংয়ে বহু ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছেন তিনি। তবে এটুকুতে তার মন ভরছে না। লাল বলের আঙিনায় নিজেকে মেলে ধরতে তিনি মরিয়া।

“নিজের বোলিং সম্পর্কে আরও বেশি জানতেও লম্বা স্পেলে বোলিং করতে হয়। আশা করি, সামনের কয়েক বছরে আরও অনেক বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ মিলবে আমাদের।”