ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর দেশটির ওপর এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো নিষেধাজ্ঞা দিল ইইউ।
রাশিয়ার নাগরিকদের ক্রিপ্টো ওয়ালেট ও একাধিক ব্যাংকের ওপর নতুন অবরোধ-নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা শুক্রবার আসে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
রাশিয়া সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা ও ধনকুবেররা আগের অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটিয়ে অর্থ পাচারের কৌশল হিসেবে ক্রিপ্টো লেনদেন ব্যবস্থাকে কাজে লাগাতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে সামরিক আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার বাণিজ্য ব্যবস্থার ওপর একের পর এক অবরোধ আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নাম এসেছে রাশিয়ার একাধিক ক্ষমতাশীল নাগরিকের।
নিষেধাজ্ঞার ফলে তাদের সঙ্গে লেনদেন বন্ধ রাখার বাধ্যবাধকতায় পড়েছিল ইউরোপভিত্তিক ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জগুলো। রাশিয়ার ওই নাগরিকরা নিষেধাজ্ঞার ফাঁক গলে ক্রিপ্টো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অর্থ পাচারের পথ খুঁজে নেবেন, এমন আশঙ্কাও ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার ইইউ জানিয়েছে, ক্রিপ্টো ওয়ালেটে তহবিল স্থানান্তরের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে তারা।
“সম্ভাব্য দুর্বলতা নিরসনে ভূমিকা রাখবে এটি,” এক বিবৃতিতে বলেছে ইউরোপীয় কমিশন।
পাশাপাশি রাশিয়ার চারটি ব্যাংকের সঙ্গে সব ধরনের লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইইউ।
চার ব্যাংকের মধ্যে ‘ভিটিবি’ আছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স। রাশিয়ার ব্যাংকিং খাতের ২৩ শতাংশ ওই একটি ব্যাংকের দখলে ছিল বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থাটি।
ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক ব্যাংক লেনদেন সেবা ‘সুইফট’ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ব্যাংকগুলো। ব্যাংকগুলোকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাজার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করতেই তাদের সকল লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।