শনিবার স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে টানা পঞ্চম মৃত্যুহীন দিন পেরুনোর খবর আসে।
ফলে মহামারীতে মোট
মৃত্যুর সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১২৩ এ থেকে গেছে। গত সোমবার থেকে এই সংখ্যাটি
স্থির রয়েছে।
আর শনাক্ত রোগীর
সংখ্যাটি ২৮ দুই বছর আগে মহামারীর শুরুর পর্যায় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। ২০২০ সালের ৫
এপ্রিলের (১৮ জন) পর দিনে এত কম রোগী আর শনাক্ত হয়নি।
নতুন শনাক্তদের নিয়ে
দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ২৩ জন।
এই সময়ে কোভিড থেকে সেরে
উঠেছেন ৬১০ জন। তাদের নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৮৭ হাজার
৯৩৩ জন।
এই হিসাবে এখন দেশে
সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩৫ হাজার জন। অর্থাৎ নিশ্চিতভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমিত
অবস্থায় রয়েছেন এই সংখ্যক মানুষ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২৮ জন
নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, তার মধ্যে ২০ জনই ঢাকা বিভাগের। তার ১৭ জনই আবার ঢাকা
জেলার। এর বাইরে কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর ও গাজীপুর জেলায় একজন করে রোগী শনাক্ত
হয়েছে।
ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহ
জেলায় ৩ জন, জামালপুরে ১ জন, চট্টগ্রাম জেলায় ১ জন, কক্সবাজারে ১ জন, চাঁদপুরে ১
জন ও হবিগঞ্জে ১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
দেশের বাকি ৫৪ জেলায়
কোনো রোগী ধরা পড়েনি গত ২৪ ঘণ্টায়।
এতে দিনে শনাক্তের হার
দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশে, মহামারীতে সার্বিক মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১৪
দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। আর সার্বিক মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের
প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক
বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত
হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০
দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক
দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬১ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে
আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৯ কোটি ৭৪ লাখের বেশি।