শুক্রবার বিকেলে হ্নীলা ইউনিয়নের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর ছেলে তারেক মাহমুদ রনির বাগানের বেশকিছু আম বাজারে বিক্রি করা হয়।
বাগানের মালিক তারেক মাহমুদ রনি বলেন, “আমার বাগানে সাড়ে ৩০০ আম গাছ আছে। এর মধ্যে চার-পাঁচটি পাহাড়ি মালি আম। এগুলো মিয়ানমার থেকে বীজ এনে লাগানো। চারটি গাছে এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। স্থানীয়ভাবে এটি ‘মাইল্লাম’ বা ‘মাইজ্জাম’ নামে পরিচিত।”
“গতকাল হ্নীলার ফল ব্যবসায়ী বাদশা মিয়ার কাছে ৯৫ হাজার টাকার মালি আম বিক্রি করেছি। গত বছরও এক লাখ ২০ হাজার টাকার আম বিক্রি করেছিলাম।“
হ্নীলার ফল ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া বলেন, এই আম আগে মিয়ানমার থেকে আসত। এখন স্থানীয়ভাবে ভালো ফলন হচ্ছে। তারেক মাহমুদ রনির বাগান থেকে প্রায় ১০ মণ পাহাড়ি মালি আম কিনেছেন। এখন সেগুলো ঢাকা ও চট্টগ্রামে পাঠানো হবে।
“এটি খেতে খুব টক। তবে সামান্য চুন দিলে টক চলে যায়, তখন খেতে মিষ্টি। প্রতি কেজি ৩০০ টাকা করে বিক্রি করছি।”
টেকনাফ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, উপজেলায় এখন পাহাড়ি মালি আমের (মাইল্লাম) ভালো ফলন হচ্ছে। আমগুলো আকারে ছোট, পাকলে হলুদ রংয়ের হয়। খেতে খুব বেশি টক। ঢাকা-চট্টগ্রামে জনপ্রিয় হচ্ছে।