পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে উইকেট হারালেও তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ভালো কিছুর ইঙ্গিত মেলে। কিন্তু তামিমের বিদায়ের পর পথ হারিয়ে ফেলে তারা।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ৫ উইকেটে ১৩৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। ফলো অন এড়াতে এখনও ১১৫ রান চাই তাদের।
তিন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তামিম, শান্ত ও মুমিনুল হক আউট হন ভিয়ান মুল্ডারের ইনসুইঙ্গারে। অন্য দুটি উইকেট নেন ডুয়ানে অলিভিয়ের।
দ্বিতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৫৩ রানের জবাব দিতে নামা বাংলাদেশের বিপদের মূলে মুল্ডারের তিন উইকেট। দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা সিডন্সকে বেশি কথা বলতে হলো এর প্রথমটি নিয়ে।
“আমার মনে হয়, চার দিয়ে তামিম পঞ্চাশ ছুঁতে চেয়েছিল। সে ভুলে গিয়েছিল, পুরো ইনিংস কীভাবে খেলেছে। সে নান্দনিক সোজা ব্যাটে খেলছিল, পা আড়াআড়ি ছিল না। ওর আগ্রাসী ব্যাটিং বোলারদের চাপে ফেলে দিয়েছিল, যেটা ছিল অসাধারণ। আমাদের ড্রেসিংরুম নির্ভার হয়ে উঠেছিল। আমি মনে করি, ৪৭ পর্যন্ত সে ভালো খেলেছে। খুব ভালো হতো, যদি এভাবে চালিয়ে যেতে পারতো।”
রাউন্ড দা উইকেটে করা মুল্ডারের ডেলিভারি অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে ভেতরে ঢোকে অ্যাঙ্গেলে। অন সাইডে খেলার চেষ্টায় তামিম ব্যাটের মুখ ঘুরিয়ে ফেলেন একটু আগেই। বল লাগে প্যাডে। প্রোটিয়াদের আবেদনে আঙুল তোলেন আম্পায়ার। পরের ওভারে ঠিক একইভাবে আউট হন শান্ত।
ডেলিভারি একই রকম ছিল, মুমিনুল চেষ্টা করেছিলেন ডিফেন্স করার জন্য। কিন্তু তিনি যেতে পারেননি বলের লাইনে।
সিডন্স জানালেন, এরই মধ্যে দুটি আউট নিয়ে ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
“এই দুই ব্যাটসম্যানই বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিল, যেখানে আমি ওদের বলেছিলাম, এমন ক্ষেত্রে পা সামনে বাড়িয়ে বল যেখান থেকে এসেছে সেখানে ফেরত পাঠাতে। আমাদের এ নিয়ে কাজ করতে হবে। এটা একটা মানসিক ও টেকনিক্যাল ভুল যা সহজেই ঠিক করে নেওয়া যায়। আমাদের এটা খুব দ্রুতই করতে হবে। এটা এমন একটা আউট যেটা রাউন্ড দা উইকেটে বোলিংয়ের সময় হওয়াই উচিত নয়।”
প্রায় এক বছর পর টেস্টে ফেরা তামিম শুরু থেকে ছিলেন আক্রমণাত্মক। নিজের জোনে পেলেই মারছিলেন বাউন্ডারি। মাঝে মধ্যে একটু ঝুঁকিও নিচ্ছিলেন। সিডন্স মনে করেন, তামিমের আউটের পেছনে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের দায় নেই।
“তামিমের ইনিংস ওর সহজাত ব্যাটিংয়েই এগিয়েছে। টেস্ট কিংবা ওয়ানডেতে সে শুরুতে আগ্রাসী থাকে। পরে থিতু হয়। পেসারদের শুধু বাজে বলগুলোর ওপরই চড়াও হয়। আজ বল ভালো ছেড়েছে, ডিফেন্স করেছে। ইনিংসের শুরুতে সে ও শান্ত রাউন্ড দা উইকেটে করা বল খুব ভালোভাবে সামাল দিয়েছে। আমার মনে হয় না, আগ্রাসনের জন্য তামিম আউট হয়েছে। এটা ছিল বাজে একটি মানসিক ভুল।”