শুক্রবার মধ্যউত্তরাঞ্চলের বিদ্রোহী কবলিত এলাকায় হামলার এ ঘটনা ঘটেছে বলে এক বিবৃতিতে দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে। খুব ভোরে সানমাতেঙ্গা প্রদেশের নামিসিগুইমা সামরিক ঘাঁটিতে হামলাটি হয়।
মৃত্যুর এ সংখ্যা প্রাথমিক এবং ঘটনাস্থলের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করার জন্য সেখানে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে কিন্তু বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দশকে কট্টর ইসলামপন্থি বিদ্রোহ প্রতিবেশী মালি থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বুরকিনা ফাসোতেও বিস্তৃত হয়েছে। আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পর্কিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এ সময়জুড়ে একের পর এক প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে আর বুরকিনা ফাসো ও মালির অপর প্রতিবেশী দেশ নাইজারের বিভিন্ন এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
এসব সহিংসতায় ইতোমধ্যে সাহেল অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ নিহত ও ২০ লাখেরও বেশি লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। অঞ্চলটিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী ও অন্য বিদেশি সেনাদের উপস্থিতি সত্ত্বেও সহিংসতা অব্যাহত আছে।
সরকার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় বুরকিনা ফাসোতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। আর গণঅসন্তোষের সুযোগ নিয়ে জানুয়ারিতে সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটায়। পশ্চিম আফ্রিকার মালিতে দুটি ও গিনিতে একটির পর ১৮ মাসের মধ্যে বুরকিনা ফাসোরটি ছিল চতুর্থ সামরিক অভ্যুত্থান।