আটকরা
হলেন- আবজেল হোসেনের ছেলে বিপুল হোসেন ও মুকুল হোসেন এবং বিপুলের স্ত্রী বিলকিচ
খাতুন ও মা রিজিয়া বেগম।
শুক্রবার
দুপুরে চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, দুই ভাইকে হত্যার পর
বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এর আগে
ওইদিন রাত ১১টার দিকে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের টেঙ্গুরপুর গ্রামের মহেশপুর সড়কে
সরদার ব্রিকসের পাশে হামলায় নিহত হন দুই ভাই আইয়ুব আলী খান (৬০) ও ইউনুস আলী খান
(৫৫)।
গুরুতর
আহত হন আইয়ুব আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান খান রনি (৩০)। তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে
নেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
নারায়ণপুর
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল কদর প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান,
হামলাকারীরা আইয়ুব আলীর ক্ষেত-খামারে কাজ করতেন।
“ঘটনার
দিন রাত ১০টার দিকে সরদার ব্রিকসের পাশে একটি চায়ের দোকানে বসে আইয়ুব আলী বিপুলের সঙ্গে
কথা বলছিল।
যশোরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদে দুই ভাই খুন
এক
পর্যায়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ে আইয়ুব অলী ও দিনমজুর বিপুল হোসেন। এসময় বিপুল আইয়ুব আলীকে
চড়-থাপ্পড় মারে।
“আইয়ুব
আলী বাড়িতে গিয়ে ছেলে রনি এবং ভাই ইউনুসকে বিষয়টি জানালে তারা এর প্রতিবাদ করতে
যায়। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বিপুল এবং তার
ভাই বিল্লাল ও মুকুলসহ ধারালো চাপাতি ও হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।”
এতে আইয়ুব
ও তার ভাই ইউনুস এবং ছেলে রনি গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক আইয়ুব ও
ইউনুসকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ
কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে আইয়ুব
ও ইউনুসের মৃতদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ
ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে
বলে জানান চৌগাছা থানার ওসি।