চলতি বছরে প্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগের সম্ভাব্য আকার সম্পর্কে এই তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গার্টনার ইনকর্পোরেটেড’।
প্রযুক্তি খাতে নানা জটিলতা ও চ্যালেঞ্জ থাকলেও, সেবায় কোনো বাধা আসলে সেটি মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে এই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা ও পরামর্শক সংস্থাটি।
অন্যদিকে, স্মার্টফোন এবং বাণিজ্যিক কম্পিউটারের মতো হার্ডওয়্যারের ওপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব কিছুটা কমলেও, সফটওয়্যার এবং প্রযুক্তিনির্ভর সেবার বাজারে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব বাড়ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরেডার।
পাশাপাশি, আইটি খাতে দক্ষ ও প্রতিভাবান কর্মীর ঘাটতির কারণে প্রযুক্তি সেবাগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার প্রবণতা বাড়ছে এবং সেবাদাতারাও তাদের সেবার দাম বাড়াচ্ছেন। আর এই বাড়তি দামের কারণে প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে আইটি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার খাতে চলতি বছর ও আগামী বছরে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছে সাইটটি।
এমন পরিস্থিতিতে গার্টনার বলছে, এন্টারপ্রাইজ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার, অবকাঠামোগত সফটওয়্যার এবং ইন্টারনেট নির্ভর নানা সেবার ঊর্ধ্বমুখী জনপ্রিয়তা স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটাই প্রমাণ করছে যে ডিজিটাল রূপান্তর একটি চলমান ‘ট্রেন্ড’।
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যাজ এ সার্ভিস (আইএএএস)’ সেবার কথা। গার্টনারের তথ্য বলছে, চলতি বছরে সফটওয়্যার খাতের সার্বিক খরচ ১০ শতাংশ বাড়বে আইএএএস-এর ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে। অনলাইনে বড় পরিসরে পরিচালিত ভোক্তা সেবা এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সেবার অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত ভীত হিসেবে কাজ করে আইএএএস সেবাগুলো।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ বছরে শিল্পের কোন খাতে কী পরিমাণ বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছেন তার সম্ভাব্য আকার জানিয়েছে গার্টনার। গবেষণা সংস্থাটির দেওয়া তথ্য বলছে, ডেটা সেন্টার সিস্টেমের পেছনে বিনিয়োগ করা হবে ২১ কোটি ৮০ লাখ ডলার, আইটি সেবায় বিনিয়োগ হবে একশ ২০ কোটি ডলার এবং ভিওআইপি ও বাণিজ্যিক ফোন সিস্টেমের মতো যোগাযোগ সেবার পেছনে বিনিয়োগ করা হবে একশ ৪০ কোটি ডলার।
বৈশ্বিক পর্যায়ে ইউক্রেইনের ওপর রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের বিরূপ প্রভাব পড়লেও, বছর জুড়ে আইটি খাতের বিনিয়োগের ওপর এর বড় কোনো প্রভাব পড়বে না বলে গার্টনারের বরাত দিয়ে জানিয়েছে টেকরেডার।
বরং, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা বিনিয়োগের যে পরিকল্পনা করেছেন, তার ওপর মুদ্রাস্ফীতি, দক্ষ কর্মীর অভাব এবং সরবরাহ ব্যবস্থার অস্থিতীশীলতাই বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।