আদালতের নির্দেশনা অনুয়ায়ী শনিবার সকাল ঠিক সাড়ে ১০টায় অধিবেশন শুরু হয়েছিল, জানিয়েছে ডন।
স্পিকার আসাদ কাইসারের সভাপতিত্বে, কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবটি আলোচ্যসূচির ৪ নম্বরে রয়েছে।
কোরআন তেলওয়াতের পর জাতীয় সংগীত ও এরপর পার্লামেন্ট সদস্য শাজিয়া সোবিয়ার মায়ের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
অধিবেশনে বিরোধীদলের সব সদস্য উপস্থিত থাকলেও মুলতবি হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ সরকারি দলের সামনের সারির অধিকাংশ সদস্যই উপস্থিত ছিলেন না।
অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ফ্লোর নিয়ে পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরিফ ‘বৃহস্পতিবারকে’ পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন হিসেবে বর্ণনা করেন।
পার্লামেন্টে ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব গত ৩ এপ্রিল ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি বাতিল করেছিলেন, যা বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অবৈধ ঘোষিত হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ ‘উজ্জ্বল’ হয়েছে বলে দাবি করেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলীয় নেতা শাহবাজ।
স্পিকার কাইসারকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যধারা শুরু করার আহ্বান জানান তিনি। এ দিন পার্লামেন্টে ইতিহাস রচিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি বলেন, “আজ পার্লামেন্ট সংবিধানিক পদ্ধতিতে একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে পরাজিত করতে যাচ্ছে।”
স্পিকারকে আগের ঘটনা ভুলে গিয়ে আইন ও সংবিধানের পক্ষে দাঁড়াতে বলেন শাহবাজ। স্পিকারকে তার নিজ দায়িত্ব পালন করে ‘ইতিহাসে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখার’ আহ্বান জানান।
শাহবাজের আবেদনে সাড়া দিয়ে বিরোধী নেতাকে আশ্বস্ত করে স্পিকার কাইসার বলেন, তিনি আইন ও সংবিধান অনুযায়ীই কার্যধারা শুরু করবেন।
“(কিন্তু) গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। এটিও আলোচিত হওয়া দরকার,” বলে তিনি।
তার এ বক্তব্যে প্রতিবাদে বিরোধীদলীয় বেঞ্চগুলোর সদস্যরা একযোগে সরব হন। স্পিকার ওই পথে গেলে তা আদালতের নির্দেশের লঙ্ঘন হতে পারে বলে মন্তব্য করেন শাহবাজ।
সুপ্রিম কোর্টের আদেশ পুরোপুরি মানা হবে উত্তর দিয়ে স্পিকার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেইশিকে ফ্লোর দেন।
এরপর কোরেইশি দীর্ঘ বক্তব্য দেওয়া শুরু করার এক পর্যায়ে বিরোধী দলীয় সদস্যরা প্রতিবাদ ও চিৎকার শুরু করেন। বিরোধীদলীয় সদস্যরা ‘নার্ভাস’ কেন, কোরেইশির এমন মন্তব্যে হৈ চৈ শুরু হলে স্পিকার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করেন।