ক্যাটাগরি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী শাহবাজ শরিফ, কে তিনি

বৃহস্পতিবার শাহবাজ বলেন, শনিবারের অনাস্থা ভোটে ইমরান খানকে পরাজিত করা গেলে বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে তিনিই দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন। তাকে এ পদে মনোনয়নও দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট পুনর্বহাল ও শনিবার অনাস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্বপ্রণোদিত রুল জারির পর বৃহস্পতিবার বিরোধী জোট যৌথ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছিল। সেখানেই শাহবাজ তার এই প্রার্থিতার কথা জানান।

সুপ্রিম কোর্টের রায়কে বিরোধীরা তাদের বিজয় হিসাবেই দেখছে এবং শনিবার পার্লামেন্টেও তাদের বিজয় হবে অর্থাৎ, ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে সরানো যাবে বলেই তারা মনে করছে।

পাকিস্তানে কোনও প্রধানমন্ত্রীই তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। আর ইমরানের দল ছেড়ে ভিন্নমতাবলম্বী আইনপ্রণেতারা চলে যাওয়ায় তার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় নূন্যতম ১৭২ আসনেরও প্রায় এক ডজন আসন কম হয়ে গেছে।

পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বিরোধীদলগুলোর জোটবদ্ধভাবে ১৬৩ টি আসন আছে। তবে দলছুট এমপি’রা অনাস্থা ভোটের মধ্য দিয়ে বিরোধীপক্ষে যোগ দিলে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যেতে পারে।

পার্লামেন্টে সমর্থনের যে হিসাব-নিকাশ দাঁড়িয়েছে, তাতে অনাস্থার লজ্জা নিয়ে ইমরানের প্রস্থান এখন অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে। আর ইমরান সরে গেলে তার জায়গায় উত্তরসূরি হিসাবে শাহবাজের নামটাই ঘুরেফিরে আসছে সবার ওপরে।

শাহবাজ শুধুমাত্র পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক নেতা নন। তার আরও একটি পরিচয় হল, তিনি সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। দেশের বাইরে শাহবাজ ততটা পরিচিত না হলেও দেশের ভেতরে প্রশাসনিক দক্ষতার জন্য তার সুনাম আছে।

এ মুহূর্তে পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বিরোধী দলনেতার পদে থাকা শাহবাজের এর আগে প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা আছে। তিনবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন তিনি। এ পদে সবথেকে বেশি দিন থাকার কৃতিত্ব তারই আছে।

তাছাড়া, সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দুর্নীতি সংক্রান্ত দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে লন্ডনে চলে যাওয়ার পরই তার দল পিএলএম-এন পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন শাহবাজ।

১৯৯৯ সালে জেনারেল পারফেজ মুশারফের নেতৃত্বে পাকিস্তানে সেনা অভ্যুত্থানের পর পাকিস্তান ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন শাহবাজ শরিফ। ২০০০ সালে সৌদি আরবে নির্বাসনে থাকতে শুরু করেন তিনি। ২০০৭ সালে শাহবাজ আবার পাকিস্তানে ফেরেন তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করতে। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জিতে ফের পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।