দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার তাকে এই সাজা
দেওয়া হয় বলে আদালতের নথির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নতুন এই কারাদণ্ড আগের দণ্ডের সঙ্গে একসঙ্গে
কার্যকর করতে বলা হলেও বিতর্কিত এই কট্টরপন্থি নেতাকে আর কত বছর কারাগারে কাটাতে হবে
তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি।
“দোষী হাফিজ মোহাম্মদ
সাঈদকে দেওয়া এই দণ্ড এবং আগে কোনো দণ্ড থেকে থাকলে তা একসঙ্গে কার্যকর হবে,” আদালতের আদেশে
এমনটাই বলা হয়েছে।
আদালতের ওই নথি দেখার কথা জানিয়েছে রয়টার্স।
২০২০ সালে একই ধরনের আরও কিছু অভিযোগে
দোষী সাব্যস্ত হাফিজ এখন কারাগারেই দিন কাটাচ্ছেন।
গত এক দশকে তাকে একাধিকবার গ্রেপ্তার ও
পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
লস্কর-ই-তৈয়বার এ প্রতিষ্ঠাতার দাবি, ২০০৮
সালের মুম্বাই হামলাসহ কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেই তার সম্পৃক্ততা নেই।
ভারত দীর্ঘদিন ধরে মুম্বাই হামলায় জড়িতসন্দেহে
হাফিজকে বিচারের মুখোমুখি করতে চাইলেও ইসলামাবাদ কখনোই তাকে নয়া দিল্লির হস্তান্তরে
রাজি হয়নি।
হাফিজ সাঈদের কারাদণ্ড নিয়ে কোনো মন্তব্য
না করলেও শুক্রবার ভারত তার ছেলে তালহাকে বেআইনী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ আইনের অধীনে ‘সন্ত্রাসী’ ঘোষণা করেছে।
ভারতের ভেতরে এবং আফগানিস্তানে ভারতীয়
স্বার্থের ওপর হামলা, হামলার চক্রান্ত, অর্থায়ন ও সদস্য সংগ্রহে লাহোরে থাকা তালহা
সাঈদ বেশ সক্রিয়, বলছে তারা।
“হাফিজ তালহা সাঈদ
সন্ত্রাসবাদে জড়িত বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার, সে কারণেই তার নাম ওই আইনের অধীনে
সন্ত্রাসী হিসেবে থাকা উচিত,” প্রজ্ঞাপনে এমনটাই বলেছে ভারত
সরকার।