আইপিএলে শুক্রবার পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ ওভারে গুজরাট
টাইটান্সের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। অসম্ভব না হলেও কাজটা অবশ্যই কঠিন। স্মিথ যদিও
প্রথমেই ওয়াইড দিয়ে কমিয়ে দেন ব্যবধান। ‘বৈধ’ প্রথম বলে হার্দিক পান্ডিয়া রান আউট হয়ে গেলে গুজরাটের জন্য কাজটা হয়ে যায়
ভীষণ দুরূহ।
নিজের মুখোমুখি প্রথম বলে তেওয়াতিয়া নিতে পারেন ১ রান। তৃতীয় বলে
চার মারেন ডেভিড মিলার। ৩ বলে দরকার ১৩। পরের বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি দক্ষিণ
আফ্রিকান ব্যাটসম্যান, বল চলে যায় বোলার স্মিথের হাতে।
ম্যাচও বলা যায় তাদের মুঠোয়, শেষ দুই বলে ছক্কা হলেও অন্তত
হারতে তো হবে না! কিন্তু তেওয়াতিয়া ক্রিজের বাইরে থাকায় ক্যারিবিয়ান
অলরাউন্ডার রান আউটের চেষ্টায় থ্রো করে বল স্টাম্পে লাগাতে পারেননি।
সেই সুযোগে ১ রান নিয়ে স্ট্রাইকে চলে যান তেওয়াতিয়া। এরপরই
অবিশ্বাস্য কাজটা করে দেখান তিনি। পরের দুই বল ছক্কায় উড়িয়ে দারুণ জয়ের উচ্ছ্বাসে
ডানা মেলে দেন ২৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। প্রথমটি ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে, পরেরটি প্রায় কাছাকাছি জায়গা দিয়ে।
৩ বলে তার ১৩ রানই গড়ে দিয়েছে ব্যবধান। তবে দলের ৬ উইকেটে জয়ের মূল
নায়ক আরেকজন- শুবমান গিল। ১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তরুণ এই ওপেনারের ৫৯ বলে ৯৬
রানের দারুণ ইনিংসে লক্ষ্যের পানে ছুটতে পারে গুজরাট।
মুম্বাইয়ের ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় শুবমান শুরুই করেন
মুখোমুখি প্রথম দুই বলে দুটি চার মেরে। ৪৫ রানে একবার জীবন
পেয়ে তিনি ৭ চার ও এক ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করেন ২৯ বলে।
শেষ ৫ ওভারে গুজরাটের দরকার ছিল ৫৬ রান। শুবমান ও পান্ডিয়া লড়াইয়ে
রাখেন দলকে। শুবমানের সেঞ্চুরিটাও মনে হচ্ছিল নাগালে। কিন্তু খুব কাছে গিয়ে শেষের
আগের ওভারে কাগিসো রাবাদার বলে এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি।
শূন্য দিয়ে আইপিএল শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচে শুবমান করেন ৪৬ বলে ৮৪।
এবার ১১ চার ও একটি ছক্কায় ৫৯ বলে খেললেন ৯৬ রানের অসাধারণ ইনিংস।
তার বিদায়ের পরই শেষ ওভারের ওই রোমাঞ্চ। তেওয়াতিয়ার ব্যাটে জয়ের
হাসি যেখানে গুজরাটের।
এর আগে এবারের আইপিএল নিলামের সবচেয়ে দামি বিদেশি লিয়াম
লিভিংস্টোনের ২৭ বলে ৬৪ রানের সৌজন্যে বড় পুঁজি পেয়েছিল পাঞ্জাব। কিন্তু জয়ের জন্য
তা যথেষ্ট হলো না। তাদের হাতের মুঠো থেকে জয় ছিনিয়ে নিলেন তেওয়াতিয়া।