শনিবার রাজধানীর
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নব
নির্বাচিত ইউনিট কমিটির পরিচিতি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য
করেন।
ওবায়দুল কাদের
বলেন, “বাংলাদেশ
ইনশাল্লাহ কখনও শ্রীলঙ্কার মতো হবে না।
“বাংলাদেশের অর্থনীতির
ভিত এবং সামগ্রিক অর্থনীতির সূচক শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে
রয়েছে।”
সরকারের
বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আজকে তারা উন্নয়নের অপপ্রচার করতে
গিয়ে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে শ্রীলঙ্কার কথা বলছে। বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কা হয়ে
যাবে, বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কার পথে হাঁটছে।
“আমি বলতে চাই, বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত,
সামগ্রিক অর্থনীতির সূচক শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। যারা আশঙ্কা করছেন তারা না জেনেই
বলছেন, কিংবা উদ্দেশ্যমূলকভাবে আওয়ামী
লীগের বিরুদ্ধে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে
এসব অপপ্রচারে নেমেছে।”
শ্রীলঙ্কার
মুদ্রাস্ফীতি এখন আকাশচুম্বী জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি অনেকটাই
নিয়ন্ত্রণে; দেশের ভেতর-বাইরে থেকে ঋণগ্রহণের পরিমাণ কখনও সহনীয়তার সীমা
অতিক্রম করেনি। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে কখনও ঋণ খেলাপি হয়নি।
“শ্রীলঙ্কায় জাতীয় আয়ের তুলনায়
বৈদেশিক ঋণের ৬১ ভাগ। বাংলাদেশে জাতীয় আয়ের তুলনায়
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১৩ ভাগ। সুতরাং দেশবাসীকে বলতে চাই, সেসব কল্পকাহিনী প্রচার করা হচ্ছে, যারা করছে,
তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে করে যাচ্ছে।”
মহামারীর ধকল কাটিয়ে বাংলাদেশ এ বছর রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা
অতিক্রম করতে যাচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
বলেন, “রপ্তানি
আয়সহ কৃষি, রাজস্ব, রেমিটেন্স আমাদের অত্যন্ত
সন্তোষজনক। শ্রীলঙ্কার মুদ্রা স্থিতিশীল নয়।
“ডলারের বিপরীতে অব্যাহত অবমূল্যায়ন চলছে। আর আমাদের ডলারের বিপরীতে
স্থিতিশীল অবস্থানে রয়েছে। শেখ হাসিনার মতো বিচক্ষণ সাহসী
দক্ষ নেতৃত্ব আছে বলেই ডলারকে স্থিতিশীল রাখতে পেরেছি।”
বৈদেশিক মুদ্রার
রিজার্ভেও যে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে আছে তা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, “শ্রীলঙ্কার ফরেন কারেন্সি কমতে
কমতে ২ বিলিয়ন ডলারে এসেছে। মাত্র ২ বিলিয়ন ডলার। আর আমাদের
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলার। বিশাল রিজার্ভ আমাদের শক্তি যোগাচ্ছে।
“নিকট অতীতে শ্রীলঙ্কাকে ২৫০
মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশের সক্ষমতা দেখিয়েছে।”
নিজস্ব অর্থায়নে
মেগা প্রকল্পও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, “অনেকে মেগা প্রকল্পের কথা বলে। পদ্মা
সেতু বিদেশি ঋণ নির্ভর নয়। আমাদের নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু
হচ্ছে।
“কোনো বিদেশি ঋণ
নিয়ে এতো বড় মেগাপ্রকল্প হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেখিয়েছে- আমরা পারি। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন।”
তৃণমূল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি ভারসাম্যমূলক
অবস্থানে রয়েছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “অপপ্রচারকারীদের উদ্দেশে বলতে চাই- অপপ্রচার করে লাভ নেই। বাংলাদেশ ইনশাল্লাহ কখনও শ্রীলঙ্কা হবে না।”
অনুষ্ঠানে
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল ফারুক খান, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির
নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর
সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি বজলুর
রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বক্তব্য দেন।