কালিগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের ছনকা গ্রামের বাড়ি থেকে শনিবার সকালে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেন তারা।
মৃত আম্বিয়া খাতুন (৭০) ওই এলাকার আনছার আলীর স্ত্রী।
আম্বিয়া খাতুনের ছোট ছেলে শেখ শরিফুজ্জামান শিমুল বলেন, শুক্রবার রাতে তার মা রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির দোতলায় নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। এ সময় তিনি এবং তার পরিবার নিচতলার ঘরে ছিলেন। মা রাতে একাই ঘুমাতেন। সেহরি খাওয়ার সময়ে তাকে ডাকতে গিয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
মথুরেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম বলেন, “আম্বিয়া খাতুনের স্বামী স্বাস্থ্য বিভাগে কাজ করতেন। তার মৃত্যুর পর পেনশনের টাকা আর জমিজমার একটি অংশ আম্বিয়া খাতুনের নামে ছিল। মায়ের ওই সম্পদ নিয়ে সন্তানদের বিরোধ ছিল বলে জানিয়েছে প্রতিবেশীরা।”
ওসি বলেন, আম্বিয়া খাতুন এক সপ্তাহ মেয়ের বাড়িতে থেকে শুক্রবার সকালে ছেলে শরিফুজ্জামানের বাড়ি ফেরেন। শনিবার ভোরে আম্বিয়ার রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
“লাশ উদ্ধারের সময় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।”
আম্বিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।