ঢাকার
মহানগর হাকিম বেগম শান্তা আক্তার রোববার শুনানি শেষে তার
জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
আশীষের
পক্ষে জামিন শুনানিতে তার আইনজীবী সেলিম আশরাফ বলেন,
“তিনি নির্দোষ। তার বিরুদ্ধে এজাহারে যা বলা হয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট। তার কাছ
থেকে কোনো মাদক উদ্ধার করা হয়নি।”
আইনজীবী
বলেন, আশীষের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে মদ সেবনের লাইন্সে আছে। আগামী ৩০
জুন পর্যন্ত মেয়াদ আছে ওই লাইসেন্সের।
“হয়রানি
করতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তার জামিনের প্রার্থনা করছি।”
এ
সময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। দুইপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন
নাকচ করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জানান।
গত
৭ এপ্রিল গুলশান থানা পুলিশ আশীষ রায়কে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন
করে। তাকে কারাগারে পাঠিয়ে জামিন শুনানির জন্য ১০ এপ্রিল দিন ঠিক করে দেন বিচারক।
গত ৫ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে সোহেল
চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক আসামি আশীষ রায় চৌধুরীকে (৬৩) গ্রেপ্তার করা হয়।
গুলশানের ওই বাসা থেকে ২২ বোতল বিদেশি মদ, ১৪
বোতল সোডা ওয়াটার, একটি আইপ্যাড, ১৬টি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, দুটি আইফোন
ও নগদ দুই লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
পরদিন র্যাব-১০ এর ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম গুলশান
থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডে
ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার
দিনই তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন।
ওই ঘটনায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে
মামলা শুরু হলেও নথি গায়েব হয়ে যাওয়ায় বিচারে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেয়।
দীর্ঘ বিরতি দিয়ে নিম্ন আদালতে বিচার চলার
মধ্যেই পলাতক আসামি আশীষকে গ্রেপ্তার করল র্যাব।