শনিবার
সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার বকশী বাজারে আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমপ্লেক্স চত্ত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায়
খ্রীষ্টধর্মের প্রায় দেড়শ প্রতিনিধির সঙ্গে আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের প্রায় সাড়ে
তিনশ’ প্রতিনিধি যোগ দেন।
অনুষ্ঠান
শুরু হয় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত এবং পবিত্র বাইবেল পাঠের মাধ্যমে। পরে শান্তি ও
সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় ধর্মের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন দুই সম্প্রদায়ের
প্রতিনিধিরা।
মিসরীর
কপটিক মিশনারি ফাদার অগাস্টিন বলেন, “কোনো ধর্মই অশান্তি,
উগ্রতা ও বিদ্বেষ ছড়ানোকে অনুমোদন করে না।
“সমাজে সম্প্রীতি নষ্টের একটা বড় কারণ হল, নিজ ছাড়া অন্য ধর্মের
অনুসারীদের অসম্মান করা, কে বড় আর কে ছোট তা নিয়ে বিবাদ করা। অথচ যুগে যুগে আল্লাহ
বা ঈশ্বরের প্রেরিতগণই নিজ নিজ জাতিতে ধর্ম প্রচার করেছেন।”
আহমদীয়া
মুসলিম জামা’ত বাংলাদেশের আমির
মওলানা আব্দুল আউয়াল খান চৌধুরী বলেন, “পবিত্র
কুরআন পৃথিবীর সব জাতি ও অঞ্চলে নবী, রসুল, অবতার, পয়গাম্বর প্রেরণের কথা বলে
আমাদের এই শিক্ষাই দেয় যে,
আল্লাহর
কাছে সমগ্র মানবজাতি সমান।
“একজন মুসলমানকে সব নবী-রসুল এবং কিতাবের উপর ঈমান আনতে হয়।
ইসলাম সকল ধর্মের অনুসারীদের সাথে সৌহার্দ্যময় সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলে।”
তিনি
বলেন, “শাশ্বতকাল থেকে ইসলামের প্রচার ও প্রসার জোর-জবরদস্তি ও বল প্রয়োগে
নয় বরং সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর অনুপম আদর্শের দ্বারা সম্ভব হয়েছে।
“ইসলাম অন্য ধর্মের উপাস্যকেও গালি দিতে নিষেধ করেছে। বিদ্বেষ
ছড়ানো এবং অন্যকে আক্রমণ করার অধিকার ইসলামে নেই।”
শুভেচ্ছা
বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক ও কলামিষ্ট মহিউদ্দিন আহমদ। আরও বক্তব্য দেন মওলানা
শাহ মুহাম্মদ নুরুল আমীন, সিস্টার পূরবী সিরাং, মিসরীর কপটিক মিশনারী ফাদার গিওম,
ফাদার ফ্রান্সিসকো।
অনুষ্ঠানে
সম্মিলিত দোয়া পরিচালনা করেন মওলানা আব্দুল আউয়াল খান চৌধুরী।
সভা
শেষে আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত প্রকাশিত ৬৯টি ভাষায়
অনূদিত পবিত্র কুরআনের একটি দুর্লভ প্রদর্শনী হয়।পরে সবাইকে ইফতার ও রাতের খাবার
দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।