এর অংশ হিসেবে মহাসড়কের ওই অংশ ইন্টেলিজেন্ট
ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) বসানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে দুর্ঘটনার বার্তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে
পাওয়া যাবে।
মহাসড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের
পাশাপাশি যানবাহনের তথ্য সংগ্রহ ও গতি শনাক্তকরণের ব্যবস্থাও হবে এর মাধ্যমে।
ঢাকায় সড়ক ও জনপথের রোড অপারেশন ইউনিটের
ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার থেকে পুরো কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এ লক্ষ্যে সম্প্রতি ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট
ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই) ও ফাইবারহোম টেলিকমিউনিকেশন টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেড
যৌথভাবে চুক্তি করেছে সড়ক ও জনপথের সঙ্গে।
এটি দেশের প্রথম নিরবচ্ছিন্ন ইন্টেলিজেন্ট
ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) প্রকল্প বলে দাবি করা হয়েছে এনডিই এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
১৫১ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প বাস্তবায়নের
ফলে এ মহাসড়কে যানবহন ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইটিএসের মাধ্যমে পরিচালনা
করা সম্ভব হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
চুক্তিতে সই করেন এনডিইর ব্যবস্থাপনা
পরিচালক রিজওয়ান মুস্তাফিজ এবং সওজের প্রধান প্রকৌশলী একেএম মনির হোসেন পাঠান।
বিজ্ঞপ্তিতে এনডিই সলিউশনসের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক রিয়াদ এসএ হোসেন বলেন, “প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি
ভবিষ্যতে প্রযুক্তি নির্ভর আরও অনেক প্রকল্পের পথ প্রশস্ত করবে।“
এমসিসি চেয়ারম্যান মাকসুদুল ইসলাম
বলেন, “প্রকল্পটি পরিবহন নিরাপত্তা এবং গতিশীল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক ভূমিকা
রাখবে। প্রযুক্তি কীভাবে আমাদের দেশের অবকাঠামো উন্নত করতে পারে এটি হবে তার নিখুঁত
উদাহরণ।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকল্পের আওতায়
টাঙ্গাইলের পাকুল্লায়, বগুড়ার মহাস্থান এবং রংপুররের ইসলামপুরের তিনটি স্থানে মিডিয়াম
স্পিড ওয়েই ইন মোশন সিস্টেমসহ এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপন করা হবে।
এ এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশনের মধ্য
দিয়ে যাওয়া যানবাহনের ওজন এবং শ্রেণি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেকর্ড করা হবে এবং তা ঢাকার
ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে পাঠানো হবে। অতিরিক্ত ওজন পাওয়া গেলে সেগুলি সিস্টেমের
দ্বারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সড়ক ও মহাসড়ক এবং অন্য কোনও প্রাসঙ্গিক এনফোর্সমেন্ট কর্তৃপক্ষকে
আরও চেকিং বা পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য রিপোর্ট করা হবে। প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর
নাগাদ শেষ হবে।