মাস্ক টুইটারের ৯.২ শতাংশ শেয়ার ক্রয়ের
খবর প্রকাশ করেছেন কয়েক দিন আগেই। তার পরপরই প্ল্যাটফর্মটির পরিচালনা পর্ষদে নিয়োগ
পান তিনি। এ ঘটনার পরপরই শঙ্কিত হয়ে পড়েন মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটির কর্মীরা।
কনটেন্ট মডারেশন নীতিমালায় মাস্কের প্রভাব
একটি নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে এবং ক্ষতিকর কনটেন্ট ও অন্যায়প্রবণ ব্যবহারকারীরা
লাগামহীন স্বেচ্ছাচারীতার সুযোগ পাবেন – সম্প্রতি নাম গোপন রেখে এমন শঙ্কার কথা রয়টার্সকে
বলেছিলেন টুইটারের চার কর্মী।
শুরুতে কনটেন্ট মডারেশন নীতিমালা নিয়ে
কিছু বলেননি ইলন মাস্ক। বরং টুইটারের সাবস্ক্রিপশন সেবায় একাধিক বড় পরিবর্তনের প্রস্তাব
করেছেন তিনি।
বাজারে ‘টুইটার ব্লু’র অভিষেক হয়েছে
২০২১ সালের জুন মাসে। প্ল্যাটফর্মের ‘প্রিমিয়াম ফিচার’ ব্যবহারের সুযোগ দেয় সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক
সেবাটি। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ জিল্যান্ডে চালু আছে এটি।
‘টুইটার ব্লু’-এর জন্য প্রতি মাসে তিন
ডলার করে খরচ করতে হয় সেবা গ্রাহকদের। কিন্তু এক টুইটে সেবাটির মাসিক খরচ আরও কমিয়ে
আনার প্রস্তাব করেছেন টেসলা প্রধান। পাশাপাশি ‘টুইটার ব্লু’ ব্যবহারকারীদের পরিচয় নিশ্চিতকরণ
চেকমার্ক পাওয়া উচিত এবং স্থানীয় মুদ্রায় মূল পরিশোধের সুযোগ পাওয়া উচিত বলে প্রস্তাব
করেছেন তিনি।
“দাম সম্ভবত প্রতি মাসে দুই ডলার হওয়া
উচিত। কিন্তু ১২ মাসের জন্য একবারে পরিশোধ করতে হবে এবং প্রথম ৬০ দিনে অ্যাকাউন্ট চেকমার্ক
পাবে না, এবং স্প্যাম বা জালিয়াতির চেষ্টা করলে অর্থ ফেরত না দিয়েই অ্যাকাউন্ট বাতিল
করা হবে,” টুইটে প্রস্তাব করেছেন মাস্ক।
“এবং আর কোনো বিজ্ঞাপন নয়। টুইটার যদি
টিকে থাকার জন্য বিজ্ঞাপনী আয়ের ওপর নির্ভর করে তবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতিমালা
প্রভাবিত করার ক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে,” যোগ করেন মাস্ক।
এ ছাড়াও ‘টুইটার ব্লু’-এর মূল্য পরিশোধের
মাধ্যম হিসেবে ‘ডোজকয়েন’ প্রস্তাব করেছেন মাস্ক। এ প্রসঙ্গে ব্যবহারকারীদের মতামতও
জানতে চেয়েছেন তিনি।
মাস্কের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে
টুইটার কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল রয়টার্স। মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া জানাতে
অস্বীকৃতি জানিয়েছে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটি।
পছন্দের নির্মাতাদের বিটকয়েনের মাধ্যমে
‘টিপ’ দেওয়ার সেবা চালু আছে টুইটারে। ‘নন-ফাঞ্জিবল টোকেন’ বা এনএফটি সমর্থনের পরিকল্পনাও
আছে বলে গত বছরেই জানিয়েছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ।
এসবের বাইরেও টুইটার কর্মীদের খেপিয়ে
দেওয়ার মতো আরেকটি টুইট করেছেন মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত
টুইটারের প্রধান কার্যালয় রূপান্তর করে তাতে বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুনর্বাসনে ব্যবহার
করা উচিত কি না, সে প্রশ্ন তুলে এক টুইটার পোল চালু করেছেন তিনি।
টুইটারে আট কোটির বেশি ফলোয়ার রয়েছে
মাস্কের । রয়টার্স জানিয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় তিন লাখ ভোট পড়ছে ওই পোলে এবং ৯০ শতাংশের
উত্তর ‘হ্যাঁ’।