রোববার আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে জানান কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, রোববার বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জেলার পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে এসব উপজেলার বিভিন্ন সড়ক, বাসাবাড়ি, ফসলের মাঠেসহ বিভিন্ন জায়গায় শিলা জমে থাকতে দেখা যায়। তাছাড়াও অনেকের ঘরের টিনও ফুটা হয়ে গেছে বলেও জানা গেছে।
স্থানীয় পথচারী তাপস রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল থেকেই আবহাওয়া খারাপ ছিল। দুপুর আড়াইটার পর থেকে আকাশ কালো হতে থাকে। ৩টার দিক শিলাবৃষ্টি হয়। মুহূর্তেই পরিবেশ ঠাণ্ডা হয়ে যায়। শিলাবৃষ্টির কারণে ঘরের টিন ফুটা হয়ে গেছে। মানুষজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, “পাঁচ বিঘা জমিতে ভুট্টা, মরিচ আবাদ করেছিলাম। হঠাৎ শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আধাঘণ্টা ধরে এই শিলাবৃষ্টি হয়। এবার সর্বোচ্চ পরিমাণ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাগুলো অনেক বড় বড় ছিল।
রাণীশংকৈলের বাচোর ইউনিয়নের ফুটানি টাউন গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, এক একর জমিতে আমের বাগান ছিল। ধান, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল ছিল প্রায় ১০ বিঘা জমিতে। শিলাবৃষ্টির কারণে এসব ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপ-পরিচালক আবু হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জেলার পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে।
“আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের শিলা পড়তে দেখা গেছে। সবজি, মরিচ, ভুট্টা, ধান, আম, লিচুর ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কার করছি। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখন বলা সম্ভব নয়। মাঠ পর্যায়ে আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন।”