এসব নেতারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ‘পরিত্যক্ত ও পরিত্যাজ্য’ হবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি
বলে দলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
রোববার আওয়ামী লীগ নেতা হাজী এয়াকুব আলীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি
নেতাদের এমন ‘আত্মঘাতী’ প্রবণতা পরিহারের আহ্বান জানান।
সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরোধ নিয়ে কয়েকবার নালিশ গড়িয়েছে কেন্দ্র পর্যন্ত। কয়েক দফায় কেন্দ্রীয় নেতারা চট্টগ্রাম সফর করে বিভিন্ন সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা দিয়েছেন।
এবার কারও নাম উল্লেখ না করে এ বিষয়ে কথা বললেন নাছির।
নগরীর আতুরার ডিপো এলাকায় হাজী এয়াকুব আলীর বাসভবন প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় আ জ ম নাছির বলেন, “দলের কঠিন সময়গুলোতে যারা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে রাজপথে থাকবেন তারাই প্রকৃত কাণ্ডারী। অথচ এদেরকে আমরা খুব একটা বেশি করে অন্তরে ধারণ করি না, এমনকি মর্যাদাও প্রদান করি না।
“আজ লক্ষ্যণীয় যে, আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আত্মঘাতী আচরণে উন্মত্ত। আমরা বুঝি না এই আত্মঘাতী আচরণে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ফায়দা লুটছে। আমরা যারা নিজেদের সমালোচনা করছি; কিন্তু প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিই না, এমনকি দল ও সরকারের সাফল্য ও অর্জনগুলোকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হচ্ছি।”
নাছির বলেন, “আমরা ড্রয়িং রুমে বসে দলের জন্য নেতিবাচক আচরণগুলো করে পত্র পত্রিকায় নিজেদেরকে জাহির করি। এ প্রবণতা অবশ্যই পরিহার করতে হবে। যারা নেতৃত্বের জন্য লালায়িত হয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাচ্ছেন তারা প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের খলনায়ক হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পরিত্যক্ত ও পরিত্যাজ্য হবেন।“
সভায় নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, “অপ্রিয় হলেও সত্য যে, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা দলে যথাযথভাবে মূল্যায়িত হচ্ছেন না। এটা আমাদের জন্য দুভ্যার্গজনক।”
প্রয়াত হাজী এয়াকুব আলী ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য, পাঁচলাইশ থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৭
নম্বর
ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তার স্মৃতিচারণ করে মাহতাব বলেন, উনার (ইয়াকুব)
কখনও বিকল্প হতে পারে না। তিনি দলের স্বার্থে নিজের সব স্বার্থকে বিসর্জন দিয়েছেন।
নগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সভায় সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী মো. হোসেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আহমেদুর সিদ্দিকী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।