ক্যাটাগরি

প্রতিশোধের রাজনীতি করব না: শাহবাজ

জিয়ো নিউজ জানায়, শনিবার মধ্যরাতে আস্থাভোটে হেরে ইমরান খানের পিটিআই সরকারের পতন নিশ্চিত হওয়ার পর পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ। 

নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে সোমবার ভোট হবে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজই বিরোধী দলীয় জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী।

পিএমএল-এন সভাপতি শাহবাজ শরিফই পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। তাতে জয়ের পর ভাষণ দিতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, অতীতের তিক্ততায় তিনি ফিরে যেতে চান না।

“যখন সময় আসবে, আমরা আরও বিস্তারিত বলব। আমরা এ জাতির ক্ষতের উপশম করতে চাই। নিরপরাধ মানুষকে আমরা কারাগারে পাঠাব না। আমরা প্রতিশোধ নেব না। আইন তার নিজের গতিতে চলবে, কোনো হস্তক্ষেপ সেখানে হবে না।

“আমি, বিলওয়াল (সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির ছেলে, পাকিস্তান পিপলস পার্টির সভাপতি বিলওয়াল ভুট্টো, বা মাওলানা ফজলুর রেহমান (জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি)- কেউ হস্তক্ষেপ করবে না। আইনের শাসন বহাল হবে, আমরা বিচার বিভাগের প্রতি সম্মান দেখাব।”    

শাহবাজ শরিফের পর বক্তব্য দিতে দাঁড়িয়ে পিপিপি নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, আমি পুরো জাতি, এই পার্লামেন্টকে অভিনন্দন জানাতে চাই, দেশের ইতিহাসে এই প্রথম একটি অনাস্থা প্রস্তাব ভোটে পাস হয়েছে, আমরা ইতিহাস গড়েছি।”  


পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী শাহবাজ শরিফ, কে তিনি
 

ইমরানকে বিদায় করতে পার্লামেন্টের ৩৪২ আইনপ্রণেতার মধ্যে অন্তত ১৭২ জনের সমর্থন প্রয়োজন ছিল বিরোধীদের। সেখানে ১৭৪ ভোট পেয়ে তাদের অনাস্থা প্রস্তাব পাস হলে ক্ষমতায় আসার সাড়ে তিন বছরের মাথায় ইমরানের বিদায় নিশ্চিত হয়।

৬৯ বছর বয়সী ইমরান খানই পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যাকে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে বিদায় নিতে হল। দেশটির ৭০ বছরের ইতিহাসে কোনো সরকারপ্রধান তার মেয়াদের পুরো সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেননি।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসে এর আগে দুইবার ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হয়েছিল। ১৯৮৯ সালে বিলওয়ালের মা বেনজির ভুট্টো এবং ২০০৬ সালে শওকত আজিজকে সেই পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়েছিল, তারা দুজনই তাতে উৎরে গিয়েছিলেন।

বিলওয়াল বলেন, তার মা বেনজির ভট্টো ১৯৮৬ সালের ১০ এপ্রিল স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে দেশে ফিরে জিয়াউল হক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। আর ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল বিরোধী দলের প্রতিরোধে একজন অগণতান্ত্রিক শাসক তার শাসনের শেষ দেখলেন।

“আজ, ১০ এপ্রিল ২০২২, পুরানা পাকিস্তানে আপনাদের স্বাগত জানাই।”