ক্যাটাগরি

ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, কট্টর-ডান চ্যালেঞ্জের মুখে ম্যাক্রোঁ

নির্বাচনে মোট ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ম্যাক্রোঁর মূল লড়াইটা হবে কট্টর-ডানপন্থি প্রার্থী মারিন ল্য পেনের সঙ্গে। মারিন ল্য পেন শক্তিশালী প্রচারণার মাধ্যমে নিজের অবস্থান অনেকটাই পোক্ত করে নিয়েছেন।

সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, মধ্য-ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট ম্যক্রোঁর সঙ্গে মারিন ল্য পেনের ব্যবধান খুবই কম। নির্বাচন ১৪ দিনের ব্যবধানে দুই দফায় অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রথম ধাপের ভোটে কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে যে দুজন প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন, তারা দ্বিতীয় ধাপের ভোট অর্থাৎ, রান-অফে অংশ নেবেন।

প্রথম দফায় কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থীর মধ্যে একজনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে ২৪ এপ্রিল হবে দ্বিতীয় ধাপের ভোট হতে পারে।

নির্বাচনী প্রচারণার শুরুর দিকে ইউক্রেইনের যুদ্ধ প্রাধান্য বিস্তার করায় এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি রেকর্ড গড়ায় প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর জনপ্রিয়তাও বেড়েছিল।

তারপরও অজনপ্রিয় কিছু পরিকল্পনার কারণে ম্যক্রোঁর সমর্থন কমেছে। অবসরের বয়স বাড়ানো এবং মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় ম্যাক্রোঁর জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে।

অন্যদিকে, মারিন ল্য পেন দৃষ্টি দিয়েছেন আভ্যন্তরীন নানা ইস্যুতে এবং ইউরোপের বাইরে থেকে অভিবাসীর সংখ্যা অনেকাংশে কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। অভিবাসনের সংখ্যা কমাতে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন ল্য পেন।

গত ছ’মাস ধরে যেসব জনমত জরিপ হয়েছে তাতে ম্যাক্রোঁকে এগিয়ে থাকতে দেখা গেলেও পরে অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে তার ব্যবধান কমেছে। বাদবাকী প্রার্থীদের তুলনায় বেশ ভালভাবেই এগিয়ে আছেন মারিন ল্য পেন।

তবে রোববার ফ্রান্সের বড় বড় শহরগুলোতে ভোট শুরুর আগের দিন চালানো ইপসোস জনমত জরিপে দেখা যায়, ৩৭ শতাংশ ভোটারই তখন পর্যন্ত কাকে ভোট দেবেন তা মনস্থির করেননি।

নির্বাচনে ১২ প্রার্থীর প্রধান ছ’জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে তিনজন ডানপন্থি এবং দু’জন বামপন্থি ফরাসি রাজনীতিবিদ।

মারিন ল্য পেন এবং এরিক জিম্যো দু’জনই কট্টর-ডানপন্থি। তাদের মধ্যে জিম্যোকে বেশি কট্টরপন্থি হিসাবেই দেখা হয়। এই দুয়ের মধ্যে কাকে বেছে নেবেন তা অনেক ভোটারই ঠিক করে উঠতে পারেননি।

রোববার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার পর বিবিসি কে এক ভোটার বলেছেন, প্রার্থীরা আন্তর্জাতিক বিষয়ে নজর দিতেই বেশি সময় নিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু এখন সেই সময় নয়। তারা আমাদের বড় বড় সমস্যাগুলো এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নিয়ে কথা বলছে না।

এ পরিস্থিতিতে অনেক ভোটারই এখন কট্টর-ডানপন্থি প্রার্থীদেরকে ভোট দেওয়াটাই ঠিক বলে মনে করছেন। অনেকেই ডানপন্থিদেরকে ভোট দিয়ে বলছেন, “আমরা ফ্রান্সের জন্য ভোট দিতে চাই, দলীয় রাজনীতির জন্য না।”