ক্যাটাগরি

বাংলাদেশের কঠিন দিন হতে যাচ্ছে, বললেন সিডন্স

দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১৩৯। এখনও স্বাগতিকদের চেয়ে ৩১৪ রানে পিছিয়ে তারা।

৩ উইকেট নিয়ে শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার পেস বোলিং অলরাউন্ডার ভিয়ান মুল্ডার। পেসার ডুয়ানে অলিভিয়ের নেন ২ উইকেট।

উইকেটে স্পিনারদের জন‍্য সহায়তা বাড়ছে। দিনের শেষ দিকে বেশ টার্ন পেয়েছেন কেশভ মহারাজ ও সাইমন হার্মার। দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা বাংলাদেশের ব‍্যাটিং কোচ সিডন্স বললেন, মহারাজকেই তার সবচেয়ে বড় হুমকি মনে হচ্ছে।

“আমার মনে হয়, দক্ষিণ আফ্রিকা খুব ভালো ব‍্যাটিং করেছে। এমন একটা স্কোর করেছে যাতে সম্ভবত ম‍্যাচ আমাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। বিশেষ করে আজকের শেষ সেশনে আমাদের ব‍্যাটিংয়ের পর। আমাদের বাঁহাতি ব‍্যাটসম‍্যানদের কিছু বড় ভুল আছে। তবে ওরাও খুব ভালো বোলিং করেছে। বিশেষ করে মহারাজ হয়তো এখনও কোনো উইকেট পায়নি, তবে টিভিতে দেখে থাকবেন, খুব উঁচু মানের বোলিং করেছে।”

“ছেলেদের মহারাজের জন‍্য একটি পরিকল্পনা নিয়ে নামতে হবে। অফ স্পিনার হার্মার বল ভালো গতিতে বেশ স্পিন করিয়েছে। ব‍্যাটিংয়ের জন‍্য কাল কঠিন একটি দিন হতে যাচ্ছে। আমাদের ৫ উইকেট এরই মধ‍্যে পড়ে গেছে। আশা করি, আমরা কিছু জুটি গড়তে পারব, যেটা এখন পর্যন্ত আমরা করতে পারিনি। কয়েকজন ব‍্যাটসম‍্যানকে স্বচ্ছন্দ মনে হয়েছে, ভালো শট খেলেছে, এরপর ডিফেন্সে বড় ভুলের জন‍্য মাশুল দিয়েছে।”

সিডন্স মোটামুটি নিশ্চিত দ্বিতীয় টেস্টের বাকি অংশে বাংলাদেশ স্পিন কতটা ভালো সামলাতে পারছে তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তবে মহরাজ ও হার্মারের স্পিনে ডারবান টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে স্রেফ ৫৩ রানে গুটিয়ে যাওয়া দলটির জন‍্য এই কাজ সহজ নয়। সিডন্স একটি পথ দেখালেন মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলি চৌধুরিদের। 

“আমার মনে হয়, স্পিনারের বিপক্ষে ডিফেন্সের সবচেয়ে ভালো কৌশল হলো কিছু শট খেলা। ব‍্যাট-প‍্যাড ক‍্যাচারদের সরিয়ে দেওয়া। সারাদিন ডিফেন্স করার চেষ্টায় কোনো লাভ হবে না। শেষ পর্যন্ত ব‍্যাট-প‍্যাডে লেগে একটা না একটা ক‍্যাচ হাতে যাবেই।”

“বল অনেক টার্ন করছে। শেষ দিকে (ইয়াসির) রাব্বি ও মুশফিকের ক্ষেত্রে অনেক বলই খেলেছে আর মিস করেছে এমন ঘটনা ঘটেছে। এভাবে সারাদিন কাটিয়ে দেওয়া খুব কঠিন। এই জন‍্য কিছু ক্রস ব‍্যাট শট খেলার প্রয়োজন হবে। আমি কোনো রাশ শট খেলার কথা বলছি না। স্পিনাররা এখনও কোনো উইকেট পায়নি, পেসাররাই নিয়েছে ৫ উইকেট। এর চারটিই এসেছে ডিফেন্সিভ শট খেলার চেষ্টায়। আক্রমণাত্মক বা ঝুকিপূর্ণ শট খেলার চেষ্টায় নয়।”

ফলোঅন এড়াতে এখনও ১১৫ রান চাই বাংলাদেশের। সেটা করতে মুশফিক ও ইয়াসিরের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে সফরকারীরা। প্রয়োজনে তারা যদি কোনো ঝুঁকি নেন, তাতে আপত্তি নেই সিডন্সের।

“স্পিনারদের বিপক্ষে আমাদের আক্রমণাত্মক হতে হবে। ব‍্যাট-প‍্যাড ক‍্যাচারদের সরাতে আমাদের কিছুটা ঝুঁকি নিতে হবে।”

“মুশফিক এমনিতে খুব ভালো সুইপ করে। উইকেটে একটু টার্ন ও বাউন্স আছে। তবে আমরা এখনও সুইপ করতে গিয়ে কোনো উইকেট হারাইনি, হারিয়েছি অন‍্য কিছুর চেষ্টায়। রাব্বিকে খুব বেশি সুইপ করতে দেখা যাবে না, তবে মুশফিক সুইপ চালিয়ে যাবে। এটা তার শক্তির জায়গা এবং সে এখনও ক্রিজে আছে। যদি সেখানে টিকে থাকার চেষ্টা করে তাহলে আউট হয়ে যাবে। তাই আমরা তাকে সহজাত ব‍্যাটিং করে যাওয়ার ব‍্যাপারে উৎসাহ দিচ্ছি। হয়তো এখানে ঝুঁকি আছে কিন্তু এটা ঠিক আছে।”