রোববার দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক
সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান। ঈদ সামনে
রেখে নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ওই সভা হয়।
খালিদ মাহমুদ বলেন, “কেবিনে বেশ কয়েকটি
দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে লঞ্চযাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র
ও জন্ম নিবন্ধন সনদ দেখাতে হবে।
“যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাদের জন্ম
সনদের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম নিবন্ধন
সনদ লিপিবদ্ধ করে রাখবেন।”
যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্যই এ সিদ্ধান্ত
নেওয়া হয়েছে মন্তব্য্য করে তিনি বলেন, “এ ছাড়া সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় চলাচলকারী লঞ্চগুলোতে
কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে যাত্রী কারা তা জানা যায় না। তাই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু
ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাওয়া ঘাটে এখন ৮৩টি লঞ্চ চলাচল
করছে দিনের বেলায়। যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে রাতেও লঞ্চ চালানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
“তবে কোনো স্পিডবোট রাতে চলাচল করবে না,
আর বালুবাহী ট্রলারও রাতে চলবে না।”
মাওয়া ঘাটে এখন ছয়টি ফেরি চলাচল করছে জানিয়ে
খালিদ মাহমুদ বলেন, যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে ফেরির সংখ্যা কীভাবে বাড়ানো যায়, কর্তৃপক্ষের
সাথে কথা বলে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
“বিআইডব্লিউটিসি জানিয়েছে, ঈদ সামনে রেখে
তারা ৫১টি ফেরিতে সারা দেশে পারাপারের সেবা দিতে পারবে। ২৭ এপ্রিল থেকে পোশাক কারখানায়
ধারাবাহিকভাবে ছুটি দেওয়া হবে। তাই আশা করছি ওভাবে লঞ্চের উপরে চাপ পড়বে না।”
‘প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে’ লঞ্চের মধ্যে ভাড়া
বৈষম্য ঘটে মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সরকার নির্ধারিত
ভাড়াই প্রত্যেক লঞ্চ মালিককে নিতে হবে। কম ভাড়ার লোভ দেখিয়ে কোনো লঞ্চ যাতে বেশি
যাত্রী না নিতে পারে, সেজন্য এই ব্যবস্থা।
নৌ পরিবহন সচিব বিভিন্ন লঞ্চের মালিক, মালিক
সমিতির সভাপতি ও শ্রমিক সমিতির প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।