রোববার র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার ও রোববার দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন কোটালীপাড়ার পলোটানা গ্রামের কালু বাড়ৈয়ের ছেলে গোপাল বাড়ৈ (৩০), খোকন বাড়ৈর ছেলে অটল বাড়ৈ (২২), রামানন্দ বৈদ্যের ছেলে তাপস বৈদ্য (৪০) ও মুশুরিয়া গ্রামের নারায়ণ বালার ছেলে বরুণ বালা (২৩)।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় মামলা করেন বলে র্যাব জানিয়েছে।
র্যাব ৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ সাদেকুল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত র্যাবের একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে ঢাকার শাহবাগ থেকে গোপাল বাড়ৈ, মাদারীপুরের শিবচর থেকে বরুণ বালা, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে অটল ও প্লাবণকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানায় র্যাব।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে কোটালীপাড়া থানায় আসামিদের হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়ে এই কোম্পানি কমান্ডার বলেন, মেয়েটির পরিবারকে সব ধরনের আইনগত সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ২৬ মার্চ রাতে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর গ্রাম থেকে পাশের গ্রাম গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার পীড়ারবাড়ি মন্দিরে গান শুনে মামাবাড়ি যাচ্ছিল ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। পথে পীড়ারবাড়ি এলাকা থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ১২ বছরের ওই কিশোরীকে একটি পরিত্ত্যক্ত ভবনে নিয়ে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে এবং দলবেঁধে ধর্ষণ করে চার জন। পরদিন সেখান থেকে আরেকটি দোতলা ভবনে নিয়ে আরও তিনদিন আটক রেখে ধর্ষণ করে তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৩০ মার্চ ওই যুবকরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকার সুযোগে জানালা ভেঙে মেয়েটি পালিয়ে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয় বলে। পরে ওই বাড়ির সদস্যদের মাধ্যমে মেয়েটি তার পরিবারে ফিরে যায়। পরে মেয়েটির বাবা থানায় মামলা করেন।
গোপালগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ইতোমধ্যে ওই শিক্ষার্থীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানায় র্যাব।