ক্যাটাগরি

চূড়ান্ত অনুমোদন পেল মেঘনা গ্রুপের কুমিল্লা ইজেড

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের পাশে ২৫০ একর জমি নিয়ে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইজেড) গড়ে তুলছে মেঘনা গ্রুপ।

ভবিষ্যতে এ অঞ্চল ৩৫০ একর পর্যন্ত সম্প্রসারণের সুযোগ
ও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

রোববার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক অনুষ্ঠানে মেঘনা
গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের হাতে চূড়ান্ত সনদ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী
কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা)
নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী
চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে আরও দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের চূড়ান্ত
লাইসেন্স নিয়ে সেগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রম শেষে কারখানা প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দিয়েছে
মেঘনা গ্রুপ। নায়ারণগঞ্জে স্থাপিত মেঘনা ইকনোমিক জোন ও মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল
ইকনোমিক জোন নামের ওই অঞ্চল দুটিতে ইতোমধ্যে ৩৩টি শিল্প কারখানা স্থাপন করা হয়েছে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সর্বশেষ অনুমোদন পাওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলটিকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জোন হিসেবে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা অনুযায়ী
কারখানা ও প্রশাসনিক ভবন, পণ্যাগার, লজিস্টিক
এলাকা, পানি ও বর্জ্য শোধনাগার, সড়ক ও অন্যান্য
প্রয়োজনীয় স্থাপনা গড়ে তোলা হবে।

এছাড়া সবুজায়ন, স্বাস্থ্য সেবা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
তৈরি করা হবে। পরিবেশের উপর যাতে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব না পড়ে তার
জন্য পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

জোনটিতে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে বলে আশা করছে
কুমিল্লা ইকোনমিক জোন লিমিটেড। পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে প্রায় ৫০ হাজার লোকের
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তোফাজ্জল হোসেন
মিয়া বেজার এ মাইলফলক অর্জনে সন্তোষ প্রকাশ
করে বলেন, বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি আধুনিক, দ্রুত
এবং মানসম্মত সেবা বাড়ানোর মাধ্যমে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বেজার কার্যক্রমের ফলে কোভিডকালেও বাংলাদেশের অর্থনীতি
বিশ্বের কাছে বিস্ময় বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

সংস্থাটি সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের
সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে শিল্পায়নের এ ধারা বজায় রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ঢাকার কাছে কুমিল্লা
ইকোনমিক জোন দেশ-বিদেশি উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাবে
বলে আশা প্রকাশ করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।

তিনি বলেন,
ইজেডে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ জমি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেওয়ার পরিকল্পনা
রয়েছে কোম্পানিটির।

কুমিল্লা ইকোনমিক
জোনের কর্ণধার মোস্তফা কামাল জানান, মেঘনা ইকনোমিক জোন ও মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল
ইকনোমিক জোনে ইতোমধ্যে ৩৩টি শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে যাতে ২৫ হাজার মানুষের
কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি শিল্প কারখানা বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে
প্রতিষ্ঠিত।

তিনি বলেন,
এখানকার উৎপাদিত পণ্য দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে ২৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

মেঘনা
ছাড়াও বেজার চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়া বিভিন্ন বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাণিজ্যিক
উৎপাদন শুরু হয়েছে। এসব অঞ্চলে মোট ২৭টি শিল্প কারখানা উৎপাদনে আছে এবং ২৩টি নির্মাণাধীন রয়েছে।

বেজা
জানায়, চলমান অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে প্রায় ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এবং ৩৫
হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। সিমেন্ট, ভোজ্য তেল, ব্যাগ, পেপার, টিস্যু,
খেলনা, বেভারেজ এবং খাদ্য দ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।