ক্যাটাগরি

‘টেস্টে এই শট কেন?’ মুশফিকের শটে খালেদ মাহমুদের বিস্ময়

সেই
প্রশ্নের উত্তর জানা নেই খালেদ মাহমুদের। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের
টিম ডিরেক্টর প্রশ্ন, বিস্ময়, হতাশা, সবকিছুর মিশেলে বললেন, ওই শটের ব্যাখ্যা মুশফিকই
দিতে পারবেন।

পোর্ট
এলিজাবেথ টেস্টের তৃতীয় দিনের লাঞ্চের একটু আগের ঘটনা সেটি। সাইমন হার্মারের দিনের
প্রথম ওভার। প্রথম বলেই সুইপ করে চার মেরে ফিফটি স্পর্শ করেন মুশফিক। পরের বলে এলবিডব্লিউয়ের
জোরাল আবেদনে আউট দেননি আম্পায়ার। দক্ষিণ আফ্রিকার রিভিউ তখন সব শেষ। রিপ্লেতে দেখা
যায়, আউট ছিলেন মুশফিক।

রক্ষা
পেয়েও শেষ পর্যন্ত আত্মহননের পথ বেছে নেন মুশফিক। তৃতীয় বলে আচমকাই রিভার্স সুইপ খেলতে
গিয়ে বোল্ড হয়ে যান। ১৯২ মিনিট লড়াই করে ১৩৪ বল খেলে পাওয়া ফিফটি যেন এক মুহূর্তেই
মিথ্যে হয়ে যায়!

লাঞ্চের
তখন মাত্র কয়েক মিনিট বাকি। তার সঙ্গী থিতু ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি আউট হয়েছেন কিছুক্ষণ
আগে। বাইরে স্বীকৃত কোনো ব্যাটসম্যান নেই। দল তাকিয়ে মুশফিকের দিকে। সেই সময়ই অমন একটি
আত্মঘাতী শট।

মুশফিক
ফিফটি ছোঁয়ার পর ধারাভাষ্যে মার্ক নিকোলাস বলছিলেন, “মুশফিক দারুণ পেশাদার।” একটু পরই
তাকে গিলতে হয় নিজের কথা। মুশফিকের শট দেখে তিনি বলেন, “মাত্রই বললাম মুশফিক পেশাদার,
কিন্তু এই শট সেটির নমুনা নয়।”

সংবাদ
সম্মেলনে খালেদ মাহমুদ বললেন, এই শটের ব্যাখ্যা কেবল মুশফিকই দিতে পারবেন।

“মুশফিকের
ওই শট অবশ্যই প্রত্যাশিত ছিল না। বিরতির আর ৪ মিনিট বাকি ছিল। জানতাম যে আর ৪৩ রান
করলে আমরা ফলো-অন বাঁচাব। ওরকম সময়ে এমন শট, মুশি আমাদের অনেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
ওর কাছ থেকে অমন শট আমরা কেউ আশা করিনি।”

“অপ্রত্যাশিত
একটা শট। এই সময় এরকম শট খেলবে…সে শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান তখন, আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ
ছিল ফলো-অন বাঁচানো। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা আমাদের ফলো-অন করায়নি। তারপরও ভাবমূর্তির
জন্য, একটা প্রেস্টিজিয়াস ব্যাপার ফলো-অন এড়ানো। সে জানে, ওই পরিস্থিতিতে সে ব্যাট
করেছে, কেন করেছে, সে বলতে পারবে। ব্যাখ্যা মুশিই দিতে পারবে। তবে কিছুটা দুর্ভাগ্যজনক।”

আগেও
নানা সময়ে বিভিন্ন সংস্করণে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন উইকেট উপহার দেওয়ার নজির তার সুদীর্ঘ
ক্যারিয়ারে বেশ কিছু আছে। সেসব বিবেচনায় রেখেও টেস্টে লাঞ্চের ঠিক আগে দলের বিপদের
মধ্যে এমন শট, ৮০ টেস্ট খেলা একজনের ক্ষেত্রে চরম বিস্ময়করই। টিম ডিরেক্টরও তুললেন
সেই প্রশ্ন।

“ওয়ানডে
বা টি-টোয়েন্টিতে আমরা এই শট মেনে নেই, কারণ রানের খেলা, রান করতে হবে। কিন্তু টেস্টে
কেন? বিশেষ করে, সে যখন এত কষ্ট করে ফিফটি করেছে, ভালো ব্যাটিং করতে করতে নিজেই ছেড়ে
দিয়েছে। ব্যাখ্যা মুশিই দিতে পারবে আসলে, তবে অমন শট তার কাছ থেকে ওই সময় প্রত্যাশিত
নয়।”