ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রোববার প্রিমিয়ার লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শেষ হলো ২-২ সমতায়। দুই দলের ব্যবধান তাই আগের মতো ১ পয়েন্টই রয়ে গেল।
৩১ ম্যাচে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি, সমান ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট ৭৩। ম্যাচ বাকি সাতটি।
লিগে ১০ ম্যাচ পর জিততে ব্যর্থ হলো লিভারপুল। তবে প্রতিপক্ষের মাঠে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে মূল্যবান ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ল তারা, সেটিও কম কিসে!
পঞ্চম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতাছাড়া করেন রাহিম স্টার্লিং। গাব্রিয়েল জেসুসের পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পান তিনি। ইংলিশ মিডফিল্ডারের প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে রুখে দেন আলিসন। এর ৩৮ সেকেন্ড পরই এগিয়ে যায় সিটি।
বের্নার্দো সিলভা দ্রুত ছোট করে ফ্রি কিকে বল বাড়ান কেভিন ডে ব্রুইনেকে। একজনের বাধা এড়িয়ে একটু এগিয়ে বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের শট লিভারপুল ডিফেন্ডার জোয়েল মাতিপের পায়ে লেগে পোষ্টে লেগে জালে জড়ায়।
জবাব দিতে বেশি সময় লাগেনি লিভারপুলের। ত্রয়োদশ মিনিটে সমতা ফেরায় তারা। হেডে বল ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি এমেরিক লাপোর্ত। অ্যান্ড্রু রবার্টসনের ক্রস দূরের পোষ্টে পেয়ে কাটব্যাকে ছয় গজ বক্সের মুখে বল বাড়ান ভার্জিল ফন ডাইক। বাকিটা সারেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড দিয়োগো জটা।
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর (৯৬) পর দ্বিতীয় পর্তুগিজ খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে ৪০ গোল করলেন তিনি।
২৩তম মিনিটে এদেরসনের ভুলে বিপদে পড়তে বসেছিল সিটি। জন স্টোন্সের ব্যাকপাসে বল পেয়ে অন্য সতীর্থকে দিতে দেরি করে ফেলেন তিনি। বল তার পেয়ে লেগে চলে যাচ্ছিল জালে। শেষ মুহূর্তে গোললাইন থেকে ফেরান ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক।
২৯তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পান ডে ব্রুইনে। লাপোর্তের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করেন জোয়াও কানসেলো। বল ধরে শরীরটা ঘুরিয়ে ডে ব্রুইনের শট পাশের জালে লাগে।
৩৭তম মিনিটে আবার এগিয়ে যায় সিটি। শুরুতে কর্নার হেডে ক্লিয়ার করেন ফন ডাইক। বল পেয়ে কানসেলো বাড়ান ডি-বক্সে। দ্রুত ভেতরে ঢুকে জেসুসের ভলি ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে জালে আশ্রয় নেয়।
বিরতির আগে ফ্রি-কিকে ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে লাপোর্তের প্রচেষ্টা ঝাঁপিয়ে পড়া আলিসনের হাত ছুঁয়ে পোষ্টে লাগে। যদিও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান।
প্রথমার্ধে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও এগিয়ে ছিল সিটি। গোলের জন্য তাদের সাত শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে, দুটিতে মেলে সাফল্য। আর লিভারপুলের দুই শটের দুটিই লক্ষ্যে।
দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে আবার সমতা ফেরায় লিভারপুল। ফন ডাইকের পাস খুঁজে পায় মোহামেদ সালাহকে। মিশরীয় ফরোয়ার্ড বল বাড়ান ডি-বক্সে। কাইল ওয়াকারকে পেছনে ফেলে আলিসনকে পরাস্ত করেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড সাদিও মানে।
৬৪তম মিনিটে বল জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মাতেন স্টার্লিং। তবে ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
সিটির সামনে তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়ার ভালো দুটি সুযোগ আসে শেষ দিকে। নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে রিয়াদ মাহরেজের বাঁকানো ফ্রি-কিক পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে ডে ব্রুইনে বল বাড়ান মাহরেজকে। আলিসন এগিয়ে আসেন কিছুটা। একজনের বাধা এড়িয়ে ডি-বক্সের সামনে থেকে মাহরেজের চিপ শট উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। হাতছাড়া হয় সুবর্ণ সুযোগ।
শিরোপা লড়াই মূলত এই দুই দলের মধ্যেই। তিন নম্বরে থাকা চেলসির ৩০ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট। ৩১ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে টটেনহ্যাম হটস্পার।