গেতাফের বিপক্ষে
ম্যাচটি শনিবার ২-০ গোলে জিতে শিরোপার পথে আরেকধাপ এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের
৭৪তম মিনিটে করিম বেনজেমার বদলে মাঠে নামানো হয় বেলকে।
এই ম্যাচের
আগে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে তিনি সবশেষ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে খেলেছিলেন ২০২০ সালের
ফেব্রয়ারিতে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে। এবারের লিগে এর আগে স্রেফ
চারটি ম্যাচে নামার সুযোগ হয়েছিল তার, সবকটিই প্রতিপক্ষের মাঠে।
২০১৩ সালে
টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া বেলের সঙ্গে
ক্লাব ম্যানেজমেন্টের সম্পর্কের অবনতি নিয়ে চর্চা হয়েছে নানা সময়ে। ২০২০ সালে জিনেদিন
জিদান কোচ থাকার সময় ক্লাব ছাড়ার কাছাকাছিও চলে গিয়েছিলেন তিনি।
পিছু না ছাড়া
চোটের কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকায় মাদ্রিদের সংবাদমাধ্যমে তার সমালোচনা হয়ে
আসছে প্রবল। নিবেদনের ঘাটতির অভিযোগে সমর্থকদের একটি অংশও তাকে দাঁড় করিয়েছে কাঠগড়ায়।
সম্প্রতি
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার ম্যাচে পিঠের চোটের কারণে
ছিলেন না বেল। তবে ওই ম্যাচের চার দিন পরই নিজ দেশ ওয়েলশের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের
প্লে-অফ ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে তিনি গোল করেন দুটি। পরে মাদ্রিদের সংবাদমাধ্যমে তাকে
শূলে চড়ানো হয় চোট নিয়ে মিথ্যা বলার অভিযোগে।
এই সবকিছুরই
প্রতিফলন হয়তো এবারের ‘দুয়ো।’ তবে ম্যাচের পর রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি ইঙ্গিত
দেন, মৌসুমের এই পর্যায়ে বেলকে নিয়মিতই মাঠে দেখা যেতে পারে।
“দুয়ো দেওয়ার
কারণটা বোধগম্যই, তবে আমাদের সমর্থকদেরও বুঝতে হবে যে, তাদের সমর্থন খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
“হ্যাঁ, বেলকে
দুয়ো দেওয়া হয়েছে। তবে সে দারুণ পেশাদার। অনুশীলনে সে ভালো করছে এবং প্রয়োজন হলে মৌসুমের
এই শেষ দিকে তাকে খেলানো হবে। সমর্থকদের তা বুঝতে হবে।”
মৌসুমের শেষ
ভাগের কঠিন সময়ে দলের প্রতিটি ফুটবলারকে প্রয়োজন পড়তে পারে, সমর্থকদের তা মনে করিয়ে
দিলেন রিয়াল অধিনায়ক মার্সেলো।
“আমরা সবাই
বেলের পাশে আছি। এটা কঠিন, সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে আগেও অনেকের ক্ষেত্রে এটা হয়েছে,
এখানকার সমর্থকদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তবে দলের প্রতিটি সদস্যই গুরুত্বপূর্ণ।”
“আমরা মৌসুমের
শেষ দিকে আছি। অনেক কিছু পাওয়ার আছে আমাদের। পরস্পরের পাশে থাকতে হবে আমাদের। এটা দুঃখজনক
(বেলকে দুয়ো দেওয়া), তবে মাঠে নেমে আমাদের সবাইকেই শতভাগ ঢেলে দিতে হবে।”