ক্যাটাগরি

ভালেন্সিয়ার না আসার গুঞ্জনের মাঝে আবাহনীর প্রস্তুতি

এএফসি কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় ধাপের ম্যাচে আগামী মঙ্গলবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ভালেন্সিয়ার মুখোমুখি হওয়ার কথা আবাহনীর। মালদ্বীপের একটি দৈনিক রোববার খবর দিয়েছে, আর্থিক সমস্যার কারণে বাংলাদেশে আসছে না ভালেন্সিয়া।

বাফুফে অবশ্য এরই মধ্যে সোমবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলন হবে বলে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে। এদিকে, সিলেটের আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে রোববার বিকালে প্রস্তুতি নেওয়ার আগে রুপুও জানালেন তার কাছে ভালেন্সিয়ার না আসার কোনো তথ্য নেই।

“আমাদের কাছে এ পর্যন্ত যে তথ্য আছে, সেটা হচ্ছে আজ রাতে ৯টায় তারা রওনা দেবে ঢাকার উদ্দেশে। কাল সকালে তারা সিলেট আসবে। আনঅফিসিয়ালি আমরা ওদের আর্থিক সমস্যার কথা শুনেছি, কিন্তু অফিসিয়ালি এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানি না।”

এ নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হননি আবাহনী কোচ লেমোস। প্রচণ্ড যানজটের কারণে ৪টায় অনুশীলন শুরুর কথা থাকলেও শিষ্যদের নিয়ে তিনি মাঠে পৌঁছান ৫টার দিকে। এসেই তড়িঘড়ি করে নেমে পড়েন অনুশীলনে। 

এ ম্যাচের প্রস্তুতিতেও থাকছে শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় প্রাইম মিনিস্টার মহিন্দা রাজাপাকসে টুর্নামেন্টে মালদ্বীপের বিপক্ষে পাওয়া বাংলাদেশ দলের সেই জয়ের অনুপ্রেরণা। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ খেলেছিল লেমোসের অধীনে।

প্রতিপক্ষকে সমীহ করলেও গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল টেনে আনলেন কলম্বোর সেই সুখস্মৃতি।

“ভালেন্সিয়ার সবশেষ ম্যাচ আমরা দেখেছি। ওদের কিছু দিক আছে ভালো, কিছু ঘাটতিও আছে। সেগুলো নিয়ে কোচ কাজ করছেন। জাতীয় দলের খেলা ছিল, লিগের খেলা ছিল, তো আমাদের দলের অবস্থা বর্তমানে ভালো। ইনজুরি খুব বেশি নেই। দোরিয়েলতনের শুধু চোট আছে। সবাই যদি নিজেদের মতো পারফরম্যান্স করতে পারে, তাহলে ম্যাচটা আমরা বের করে নিতে পারব।”

“ভালেন্সিয়া দলে কিছু খেলোয়াড় আছে, যারা জাতীয় দলে খেলেছে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও আছে। আমাদের দলেও জাতীয় দলের খেলা খেলোয়াড় আছে। আমি মনে করি, আমরা স্থানীয়রা যদি বিদেশিদের সঙ্গে ভালো করি, তাহলে খুব একটা পার্থক্য হবে না। আমরা জানি, ওদের জাতীয় দল আমাদের জাতীয় দলের চেয়ে ভালো। সবশেষ ম্যাচে আমরা মালদ্বীপের কাছে হেরেছি। কিন্তু মারিও যখন বাংলাদেশের দায়িত্বে ছিল, তখন ওর অধীনেই আমরা মালদ্বীপকে হারিয়েছি। এ কারণে কোচেরও আত্মবিশ্বাস আছে।”

লিগে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা দোরিয়েলতন নাসিমেন্তো গেমেজকে এ ম্যাচে পাচ্ছে না আবাহনী। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের শূন্যতা পূরণে বসনিয়া হার্জেগোভিয়ার ফরোয়ার্ড নেদো তুর্কোভিচকে দলে টেনেছে তারা। কিছুটা সংশয় থাকলেও সোহেল আশাবাদী দ্রুতই তাদের সঙ্গে মানিয়ে নিবেন তুর্কোভিচ।

“আসলে দোরিয়েলতন অনেকদিন আমাদের সঙ্গে অনুশীলন করেছে, খেলেছে, দলের সঙ্গে ও মানিয়ে নিয়েছিল। নেদো অন্য দল থেকে এসেছে। দুটি সেশনে বা দুই দিনের মধ্যে আসলে সেভাবে নতুন একটা দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে আশা করি, ও তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিবে।”

জুয়েল রানার মনে হচ্ছে মাত্র দুই দিনে দলের সঙ্গে তুর্কোভিচের মানিয়ে নেওয়া কঠিনই হবে। তবে আবাহনীর এই ফরোয়ার্ডও আশাবাদী আক্রমণভাগে তারা চলতে পারবেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।

“আসলে নেদোর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া একটু কঠিনই হবে। যেহেতু ও নতুন আসছে। তবে ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, ওর খেলার কিছু ভিডিও আমরা দেখেছি, ও কিভাবে খেলে, মুভ করে সেগুলো বুঝতে চেষ্টা করছি। কিছুটা সময় হাতে আছে, দুদিন অনুশীলন করব একসঙ্গে, আশা করি ও দলের সঙ্গে মানিয়ে যাবে।”

তুর্কোভিচও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মানিয়ে নেওয়ার। আবাহনীও আঁটঘাট বেঁধে প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু এতকিছুর মধ্যে শঙ্কার চোরাস্রোত ঠিকই বয়ে যাচ্ছে-ভালেন্সিয়া আসছে তো?