সাইবার অপরাধ জগতে ‘স্ট্রোনিয়াম’ এবং
‘এপিটি২৮’ নামেও পরিচিতি আছে ‘ফ্যান্সি বেয়ার’-এর। রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার
সঙ্গে হ্যাকারদের দলটির সংশ্লিষ্টতার কথা আগেই জানিয়েছিলেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা।
ডোমেইনগুলোর দখল নেওয়ার জন্য ৬ এপ্রিল
মাইক্রোসফট আদালতের অনুমতি পেয়েছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট
ভার্জ। ডোমেইনগুলোকে পরে একটি ‘সিংকহোল’-এর দিকে ঘুরিয়ে দেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা।
‘সিংকহোল’ আদতে সাইবার নিরাপত্তা গবেষকদের ব্যবহৃত একটি বিশেষ সার্ভার; ক্ষতিকর ইন্টারনেট
সংযোগগুলোকে এ ধরনের সার্ভারে ‘আটক করে বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা হয়’ বলে জানিয়েছে ভার্জ।
সর্বশেষ সাতটি ডোমেইন জব্দ করার আগেই
ফ্যান্সি বেয়ারের একশ’র বেশি ডোমেইন জব্দ করার দাবি করেছে মাইক্রোসফট।
“আমাদের বিশ্বাস স্ট্রোনিয়াম টার্গেটের
কম্পিউটার সিস্টেমে দীর্ঘস্থায়ী প্রবেশাধিকার প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছিল যেন স্পর্শকাতর
তথ্য সংগ্রহ করে সামরিক আগ্রাসনে কৌশলগত সমর্থন দিতে পারে তারা,” মাইক্রোসফটের এক ব্লগ
পোস্টে লিখেছেন প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক নিরাপত্তা বিভাগের ভাইস-প্রেসিডেন্ট টম বার্ট।
ইউক্রেইন ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সাইবার
হামলার চালানোর পুরনো ইতিহাস রয়েছে ফ্যান্সি বেয়ারের। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনকে লক্ষ্য করে সাইবার হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে হ্যাকারদের দলটির বিরুদ্ধে।
২০১৬ সালেও ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনীর ওপর সাইবার হামলা চালিয়েছিল তারা।
ভার্জ বলছে, ইউক্রেইনে রাশিয়ার হামলা
শুরু হওয়ার পর থেকে ফ্যান্সি বেয়ারের মতো হ্যাকারদের দলগুলোর তৎপরতা লক্ষ্যণীয় হারে
বেড়েছে। ফ্যান্সি বেয়ার এবং বেলারুশের হ্যাকারদের দল ‘ঘোস্টরাইটার’ ইউক্রেইনের সরকারের
শীর্ষ কর্মকর্তা এবং পোলিশ সামরিক বাহিনীর অফিসারদের লক্ষ্য করে ‘ফিশিং হামলা’ চালাচ্ছে
বলে মার্চ মাসেই জানিয়েছিল গুগল।
এ ছাড়াও ইউক্রেইনে আগ্রাসেনর শুরুতেই
ইউরোপিয়ান স্যাটেলাইট হ্যাকিংয়ের অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার সরকার সমর্থিত হ্যাকারদের বিরুদ্ধে।
তবে, স্যাটেলাইট হ্যাকিংয়ের সঙ্গে ফ্যান্সি বেয়ার জড়িত ছিল কি না, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট
নয় বলে জানিয়েছে ভার্জ।