এজন্য প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টার নির্দেশনায় সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিকস ও মাইক্রো প্রসেসিং ডিজাইন- এ চারটি ডোমেইনে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগ কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।
রোববার মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) আইসিটি বিভাগের ‘নিরাপদ ইমেইল ও ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রথম ‘সাইবার রেঞ্জ ল্যাব’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পলক বলেন, দেশের সাইবার স্পেস, রাষ্ট্রীয় ডিজিটাল কাঠামো, সামরিক-বেসামরিক, সরকারি-বেসরকারি, আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এমআইএসটিতে সব সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন সাইবার রেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ধাপে ধাপে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ রেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
“১৩ বছর আগে দেশে সাইবার স্পেস, ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার বড় ছিল না। ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং লক্ষ্যগুলো পূরণ হয়েছে, তখন সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
আইসিটি বিভাগের তত্ত্বাবধানে দেশে প্রথমবারের মত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৈরি সাইবার রেঞ্জ দেশের সাইবার নিরাপত্তা খাতে ‘নতুন দিগন্তের’ সূচনা করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পলক বলেন, “আমি তখনই আনন্দিত ও সন্তুষ্ট হবো- যখন আমি দেখবো এমআইএসটি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা সারা পৃথিবীকে নেতৃত্ব দেবে। ওয়াল অব ফেমে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের নাম স্থান পাবে।”
পরে প্রতিমন্ত্রী এমআইএসটির সাইবার রেঞ্জ ল্যাবের শুভ উদ্বোধন করেন।
এর আগে তিনি ডেটা অ্যানেলেটিক্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিকস এবং সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে এমআইএসটির কমান্ড্যান্টসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানে আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এমআইএসটির কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল ওয়াহিদ-উজ-জামান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন।