ডন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বিদেশি ষড়যন্ত্রে অংশ নিতে পারবেন না জানিয়ে শনিবার পদত্যাগ করেছেন স্পিকার কাইসার।
এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই পার্লামেন্টে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট শুরু হয়।
পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার আগে কাইসার বলেছেন, তিনি মন্ত্রিসভা থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ নথি’ পেয়েছেন, তা দেখানোর জন্য তিনি বিরোধীদলীয় নেতা এবং পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
“আমাদের আইন অনুযায়ী এবং আমাদের দেশের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমি আর স্পিকারের পদে থাকতে পারি না আর তাই আমি পদত্যাগ করেছি,” বলেছেন তিনি।
“যেহেতু এটি একটি জাতীয় দায়িত্ব এবং এটি সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত, তাই আমি প্যানেল চেয়ারম্যান আয়াজ সাদিককে অধিবেশনটি পরিচালনা করতে বলেছি,” বলেন কাইসার।
স্পিকারের চেয়ারে বসার পর সাদিক কায়সারকে তার দলের সঙ্গে থাকার জন্য এবং একটি ‘সম্মানজনক প্রস্থান’ বেছে নেওয়ার জন্য শ্রদ্ধা জানান।
এরপর সাদিক পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষের ঘণ্টা পাঁচ মিনিট ধরে বাজিয়ে ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে সদস্যদের এটি জানাতে বলেন। এরপর পরিষদ কক্ষের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, জানিয়েছে ডন।
স্থানীয় সময় রাত
১১টা ৫৮ মিনিটে প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি শুরু হয়। অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে থাকা সদস্যদের
সাদিকে বাম দিকের গেইট দিয়ে বের হয়ে যেতে বলা হয়। এরপর তিনি প্রথা অনুযায়ী চার মিনিটের
জন্য অধিবেশন মুলতবি করেন কারণ নিয়ম অনুযায়ী, মধ্যরাতের পর এই অধিবেশন অব্যাহত থাকতে
পারে না।
তারপর ভোটিং প্রক্রিয়া ফের শুরু হয়। পরিষদের একটি দরজার কাছে রাখা রেজিস্টারে আইনপ্রণেতারা নিজের নাম লেখার মাধ্যমে তাদের ভোট নিশ্চিত করেন।
এরপর ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে এই ইঙ্গিত দিতে আবার দুই মিনিট ধরে ঘণ্টা বাজানো হয়্ এবং সদস্যরা যার যার আসনে ফিরে যান।
অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে বিদায় করতে বিরোধীদের দরকার পার্লামেন্টের ৩৪২ আইনপ্রণেতার মধ্যে অন্তত ১৭২ জনের সমর্থন।