আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার খুব বেশি দীর্ঘ ছিল না হুসেইনের। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে খেলেন দুটি টেস্ট ও ১৪টি ওয়ানডে। যেখানে মোট ১৬ উইকেট রয়েছে তার নামের পাশে। ব্যাটের হাতও খারাপ ছিল না তার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য তা খুব একটা দেখাতে পারেননি।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ছোট্ট হলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে হুসেইন ছিলেন পরিচিত মুখ। খেলে গেছেন তিনি এদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন আবাহনী লিমিটেডের হয়ে। ২০০১ সালের ঢাকা লিগে আবাহনীর হয়ে ১ সেঞ্চুরি ও ৭ ফিফটিতে ৮১০ রান করেছিলেন ৫৪ গড় ও ১৩৬.৩৬ স্ট্রাইক রেটে, বল হাতে নিয়েছিলেন ২৮ উইকেট। পরের দুই মৌসুমেও খেলেন তিনি আবাহনীর হয়ে।
হুসেইনের নামের সঙ্গে বাংলাদেশ জড়িয়ে আছে আরেকটি জায়গাতেও। তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ছিল এই দেশেই। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানকে নিয়ে সাড়া জাগানো ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপের দ্বিতীয় ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা।
তার প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার প্রায় ১৫ বছরের। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে এই সংস্করণে পা রেখে খেলেন ১৩১ ম্যাচ, নেন ৪৫৪ উইকেট। ২৯ বার ইনিংসে নেন পাঁচ উইকেট, ম্যাচে দশ উইকেট ৭ বার। ব্যাট হাতে ২ সেঞ্চুরি ও ২৯ ফিফটিতে প্রথম শ্রেণিতে ২৬.৫৭ গড়ে রান করেন ৪ হাজার ৯৯৬ রান।
৯২ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে তার উইকেট ১৩০টি। ৭ ফিফটিতে রান করেন এক হাজার ৩৯০।
২০০৯ সালে খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি টানেন তিনি। এরপর আর ক্রিকেটে তাকে দেখা যায়নি সেভাবে।