আইইউবির এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক সালিমুল হক এ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
সোমবার আইইউবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগের দিন রোববার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আইইউবি ক্যাম্পাসে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছরের প্রথম দিন অধ্যাপক সালিমুল হককে ওবিই উপাধি দেয় ব্রিটিশ সরকার।
আইইউবির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, “জলবায়ুর প্রতিকূলতা মোকাবেলায় বাংলাদেশ এই শতাব্দীর একমাত্র দেশ, যারা ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান তৈরি করেছে।
“এই পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় আমরা অধ্যাপক সালিমুল হকের সাথে কাজ করেছি। সেখানে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।”
ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন অনুষ্ঠানে বলেন, “অর্ডার এবং অনার্স ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃতি ব্যক্তিদের অসাধারণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা দেয় যুক্তরাজ্য। অধ্যাপক সালিমুল হককে ওবিই সম্মাননা দেওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাজ্য সে কাজটিই করেছে।”
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, “জলবায়ু নিয়ে যে কোনো প্রশ্নে ন্যূনতম পরিবর্তন আনাটাও খুব কঠিন কাজ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো যে পরিমাণ ক্ষতি এবং ধ্বংসের মুখোমুখি হচ্ছে, সে প্রশ্নে দরকষাকষিতে অধ্যাপক সালিমুল হকের দৃঢ় ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ বলেন, “অধ্যাপক হক সবসময় সিভিএফ কে সহযোগিতা করেছেন এবং ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সিভিএফের সমস্ত প্রেসিডেন্সিকে সমর্থন যুগিয়েছেন। সে জন্য সিভিএফ তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।”
আইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী বলেন, আজকের তরুণদের অধ্যাপক সালিমুল হকের মত কৃতি ব্যক্তিদের দেখে শেখা উচিৎ।
“কারণ তারা বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন কিন্তু সেখানখার উন্নত জীবন ছেড়ে ফিরে এসে দেশের সমৃদ্ধিতে অর্থবহ অবদান রাখছেন।”
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের পরিবেশসহ বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন ও প্রযুক্তিমনা করতে আইইইউবির প্রচেষ্টায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন অধ্যাপক সালিমুল হক।
“অধ্যাপক হকের সহযোগিতা এবং গবেষণা আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের শেখার এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।”
আর অধ্যাপক সালিমুল হক বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা এখন বাংলাদেশের আছে। আমরা এখন আর শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের অসহায় শিকার নই। এখন সমস্যা সমাধানের মানসিকতাও বাংলাদেশের আছে।”
জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে অভিযোজনের ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের জন্য একটি ‘মডেল হয়ে উঠেছে’ বলে মন্তব্য করেন এই জলবায়ু বিজ্ঞানী।
আইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান অুনষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি সালিমুল হকের পরিবারের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক হকের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন এবং আইইউবির সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের উপরে দুটি ভিডিওচিত্র দেখানো হয় অনুষ্ঠানে।