মামলা দায়েরের পর
রোববার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে সাভার মডেল থানার এসআই এস এম শাহারিয়ার জানান।
গ্রেপ্তারকৃরা হলেন-
সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনি মহল্লার শাখাওয়াত হোসেনের ছেলে আকিব হোসেন নুর (১৯),
একই মহল্লার আসাদুল হকের ছেলে সাব্বির হোসেন (২২) ও কাতলাপুর মহল্লার অশোক কুমার দাসের
ছেলে অর্ঘ্য অর্পণ দাস (২১)।
মামলার বরাত দিয়ে
এসআই বলেন, রোববার দুপুরে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট
অব হেলথ ম্যানেজমেন্ট (বিআইএইচএম) কেন্দ্রে টিকা নিতে যান জাবি শিক্ষার্থী ইমন ও মাজেদ।
তারা লাইনে থাকা অবস্থায় বেলা ১টায় টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ সময় লাইনে দাঁড়ানো
লোকজন টিকা দেওয়ার অনুরোধ জানান। টিকাদানকারী স্বাস্থ্যকর্মীরা এতে রাজি না হওয়ায় তাদের
মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী মিলে ইমন ও মাজেদকে মারধর করেন।
প্রতিবাদে রাতে
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে প্রায় আধাঘণ্টা বিক্ষোভ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় তারা।
রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বাদী হয়ে মামলা করেন।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য
ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনায় জড়িত রেডক্রিসেন্ট
কর্মীদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা মূলত স্বেচ্ছাসেবক, তারা কোনো সরকারি কর্মী নন।
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা
এস এম শাহারিয়ার বলেন, মামলা হওয়ার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা
হয়েছে। মামলা তিনজনের নাম ছাড়াও অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।