চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার একটি হোটেলে এমসিএক্স এর সঙ্গে তাদের এ
বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এই চুক্তির আওতায় মূলত সিএসইকে পরামর্শ সেবা দেবে
ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড
এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্সে কৃষিপণ্য, গবাদিপশু, মাছ, বনজ সম্পদ, খনিজ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন
পণ্য কমোডিটি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কেনাবেচা করার সুযোগ থাকলেও সে রকম কোনো এক্সচেঞ্জ
এতদিন ছিল না।
এই এক্সচেঞ্জ বা মার্কেট
প্লেসে বিভিন্ন বাল্ক পণ্য কেনাবেচা হবে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর
সেই লেনদেনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে এবং ক্রেতাকে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
সিইসি বলছে, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ
প্রতিষ্ঠা হলে কৃষক/ উৎপাদক থেকে শেষ ব্যবহারকারী পর্যন্ত পণ্যের মূল্য একটি স্থিতিশীল
পর্যায়ে রাখা, ফসল তোলার পর ক্ষতির ঝুঁকি কমানো, দক্ষ ঋণ ব্যবস্থাপনা, স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক
দর নির্ধারণ ব্যবস্থা তৈরি করা এবং লেনদেন ও বিপণন ব্যয় কমিয়ে আনা সহজ হবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গতবছর অক্টোবরে সিইসিকে কমোডিটি
এক্সচেঞ্জ চালুর প্রাথমিক অনুমোদন দেয়। তবে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করতে হলে আরও বেশ
কিছু প্রস্তুতি শেষ করতে হবে সিএসইকে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
সিএসই জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তারা একটি মৌলিক ধারণাপত্র তৈরি করেছে এবং তা নিয়ন্ত্রক সংস্থার
কাছে জমা দিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম চালানোর সম্মতি পেয়েছে । তবে পুরো প্রস্তুতি শেষ করতে
দীর্ঘ ও জটিল বেশ কিছু প্রক্রিয়া পার হতে হবে।