ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রোববার লিভারপুরের বিপক্ষে দুইবার এগিয়ে গিয়েও লিড ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। দুবারই ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-২ ড্র করে ফেরে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
ম্যাচটি জিতলে লিভারপুলের চেয়ে ৪ পয়েন্ট এগিয়ে যেত গুয়ার্দিওলার দল। শিরোপা দৌড়ে যা তাদের এগিয়ে দিত অনেকটাই।
পয়েন্ট ভাগাভাগি করায় টেবিলে দুই দলের ব্যবধান আগের মতোই আছে। ৩১ ম্যাচে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সিটি। সমান ম্যাচে এক পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লিভারপুল।
পূর্ণ পয়েন্ট আদায় করতে না পেরে হতাশ গুয়ার্দিওলা মনে করছেন, শিরোপা জিততে সামনের সব ম্যাচই এখন জিততে হবে তাদের।
‘‘এখন দুই দলই জানে ৭টি করে ম্যাচ বাকি আছে। এগুলো জিততে হবে, নয়তো সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে।’’
‘‘এই ফলাফলে আমার যেটা মনে হয়েছে, আমরা একটা সুযোগ হাতছাড়া করেছি। তাদের শিরোপার আশা জিইয়ে রেখেছি।’’
তবে অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে চান না গুয়ার্দিওলা। তাকাতে চান সামনে।
‘‘যেটা ঘটে গেছে, তা নিয়ে পড়ে থাকার মানে নেই। এখানেই শেষ নয়। পরাজয় বা জিতলেও আমি এ কথাই বলতাম। আমরা জানি আমাদের কী করতে হবে। কী ঘটতে যাচ্ছে সেটা আমি জানি না।’’
ম্যাচটি জিততে না পারা লিভারপুলের জন্যও সমান হতাশার। সিটির চেয়ে ২ পয়েন্ট এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল তাদের। তবে দুইবার পিছিয়ে পড়েও পয়েন্ট আদায়ের কৃতিত্বও দিতে হবে দলটিকে।
লিভারপুল কোচ ক্লপের চোখে সিটির বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল দুর্দান্ত।
‘‘কী দুর্দান্ত একটা ম্যাচ হলো… আমাদের যেমন ভুগতে হয়েছে, তেমনি তারাও ভুগেছে।’’
লিগে লিভারপুলের পরের ম্যাচ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে। আগামী ১৯ এপ্রিল ঘরের মাঠে ম্যাচটি জিতলে টেবিলের শীর্ষে উঠবে তারা। পরদিনই নিজেদের ম্যাচে ব্রাইটনকে হারালে ফের শীর্ষে উঠে যাবে সিটি।