তিনি বলেছেন, “স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা হয়ে, স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক হয়ে, মুক্তিযুদ্ধের এক দুঃসাহসী কমান্ডার হয়েও দুর্ভাগ্যজনকভাবে আ স ম আব্দুর রব জাতীয় সরকারের নামে যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদর খুনিদের হালাল করার রাজনীতি করছেন।”
রোববার নোয়াখালীতে জাসদের এক মতবিনিমিয় সভায় একথা বলেন শিরীন।
রব, শিরীন জাসদে এক সময়ে একসঙ্গে থাকলেও নানা অংশ নিয়ে বিপরীত মেরুতে তাদের অবস্থান। হাসানুল হক ইনু নেতৃত্বাধীন জাসদ রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলে। অন্যদিকে রবের জাসদ (জেএসডি) রয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে।
গত শনিবার নোয়াখালীতে জেএসডি আয়োজিত ইফতার পার্টি ও আলোচনা সভায় রব বলেন, “চলন্ত গাড়ি যেমন সড়ক থেকে খাদে পড়ে গেলে সেখান থেকে ক্রেইন দিয়ে টেনে তুলতে হয়, ঠিক তেমনি আজকে রাষ্ট্রকে ঠিক জায়গায় আনার জন্য সবার অংশগ্রহণে একটি জাতীয় সরকারের বিকল্প নেই।
তার মতে, “দুই থেকে তিন বছরের জাতীয় সরকার ছাড়া রাষ্ট্রকে মেরামত করা যাবে না। মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বার্থে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। যারা আন্দোলন করে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাবে, তারা সবাই মিলে যে সরকারটা গঠন করবে সেটার নাম হবে জাতীয় সরকার।”
সেই জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকারে যদি ‘স্বাধীনতা বিরোধীরা’ থাকবে
বলে অন্য সবাই মনে করে, তাতে ‘আপত্তি নেই’ বলেও জানান রব।
তার ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রোববার শিরীন বলেন, “উনি (রব) ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারে মন্ত্রী থেকেও কেন তার রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করে উল্টা দিকে গেলেন, তার জবাব উনিই দিবেন। এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না।”
জাসদ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বাংলাদেশকে শান্তি ও স্থিতিশীল রেখে উন্নয়নের পথে যেতে হলে মীমাংসিত বিষয়কে অমীমাংসিত করার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। যারা মীমাংসিত বিষয়কে অমীমাংসিত করে তারা জাতিকে ভাগ করে বিভক্ত করে রাখতে চায়।
“আমি আশা করব, সকল দেশপ্রেমিক মানুষ মীমাংসিত বিষয়কে অমীমাংসিত করার রাজনীতি পরিহার করবেন।”