১৮ দিন আগে ওই ব্যক্তিকে
হত্যা করা হলেও রোববার এ ঘটনার চার মিনিট ১৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে পুলিশের
ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এলাকাবাসী।
ভিডিওতে দেখা যায়,
এক তরুণ পুলিশ ও অন্যান্য মানুষের সামনে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে এক ব্যক্তিকে
মাটিতে ফেলে দেয়। তিনি সেখানে ছটফট করছিলেন। পরে মারা যান।
একপর্যায়ে পুলিশের
দিকেও রামদা নিয়ে তেড়ে যান ওই তরুণ। তখন এক নারী পুলিশকে সরে যেতে বলেন। এ সময় পাশ
থেকে একজন পুলিশ সদস্যকে বন্দুক নিয়ে প্রস্তুত হতে দেখা যায়। তখন কিছু লোকজন পুলিশকে
সরিয়ে নিয়ে যায়।
মামলার অভিযোগ থেকে
জানা যায়, উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের হালুয়াহাটি এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন জিকোর
সঙ্গে প্রতিবেশী শেখবর আলীর জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে ২২ মার্চ জিকোসহ কয়েকজনের
নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন শেখবর।
২৩ মার্চ বিকালে
ঘটনা তদন্তে আসেন শ্রীবরদীর থানার এসআই ওয়ারেছ আলীসহ কয়েকজন। এ সময় জিকোসহ চার-পাঁচজন
অতর্কিতে রামদা, ছুরি ও লাঠিসোটা নিয়ে শেখবর আলীর ওপর হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি
মারা যান বলে মামলার এজাহারে বলা হয়।
মামলাটি করেন শেখবর
আলীর ছোট ভাই মাহফুজ। তিনি ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করেন।
পুলিশ জানায়, ওই
দিনই জাকির হোসেন জিকোর স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন রাতে জেলা ছাত্রলীগের
সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান রাজাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। একইদিন উপজেলার বালিজুড়ি
এলাকার গহীন অরণ্য থেকে প্রধান আসামি জিকোকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের
সিপিসি-১ ইউনিট।
শ্রীবরদী থানার
ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস সোমবার বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান আসামি জিকো, স্ত্রী,
তার ভাই জজ মিয়া, মিজানুর রহমান রাজা, সাইফুলসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“এর মধ্যে জিকো
ও সাইফুল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।”
এ ছাড়া এসআই ওয়ারেছ
আলীকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে বলে জানান ওসি।