ডারবানে প্রথম টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে ৫৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম দিন ইনিংস স্থায়ী হয়েছিল কেবল ৫৫ মিনিট। নিদারুণ ব্যাটিং ব্যর্থতায় দল হেরেছিল ২২০ রানে।
পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে হলো যেন এর পুনরাবৃত্তি। চতুর্থ দিন ইনিংস স্থায়ী হলো কেবল এক ঘণ্টা। একের পর এক উইকেট বিলিয়ে সফরকারীরা থামল কেবল ৮০ রানে। ম্যাচ হারল ৩৩২ রানে।
দুই টেস্টেই বাংলাদেশের শেষ ইনিংসে বোলার পরিবর্তন করতে হয়নি ডিন এলগারকে। কেশভ মহারাজ ও সাইমন হার্মারই শেষ করে দেন কাজ। মহারাজ দুবারই নেন ৭ উইকেট করে, বাকিগুলো হার্মার।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল জানালেন, ন্যূনতম লড়াইটুকুও না করতে পারার জন্য একটাই কারণ তার চোখে পড়ছে।
“লড়াই করতে না পারার ব্যাখ্যা একটাই, আমরা খুব বাজে ব্যাটিং করেছি। এটাই, আর কোনো কিছু নাই। আমার মনে হয়, আমরা খুব বাজে ব্যাটিং করেছি। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে বলতে গেলে… আমরা আসলে খেলতে পারিনি।”
“আমার মনে হয়, আমাদের বাস্তবায়নে হয়তো ভুল ছিল। দুয়েকটা আউট ছিল যেখানে হয়তো করার কিছু ছিল না। কয়েকটা আউট ছিল, যেখানে আমরা বাস্তবায়নে ভুল করেছিলাম। বাস্তবায়নে ভুল হলেই কাজ কঠিন হয়ে যায়। আর এমন না যে, এমন স্পিনিং উইকেটে এর আগে খেলিনি।”
স্পিনিং উইকেটে খেলে অভ্যস্ত বাংলাদশের ইনিংস এবার স্থায়ী হয় কেবল ২৩.৩ ওভার। মহারাজ ও হার্মারের স্পিনে উইকেটে পড়ে থাকার দিকে মন ছিল না কারো। বেশির ভাগই আউট হন বড় শট খেলার চেষ্টায়। আক্রমণাত্মক খেলার লক্ষ্য নিয়েই কি নেমেছিলেন মুমিনুলরা?
“পরিকল্পনা যা ছিল, হয়তো বাস্তবায়ন ঠিক হয়নি। আমার আর (ইয়াসির আলি চৌধুরি) রাব্বির যে আউট ছিল, হয়তো উড়িয়ে মারা ঠিক হয়নি। যেহেতু বল বেশি স্পিন করে আমার মনে হয়, স্কয়ার অব দা উইকেট খেলা ভালো। আগেও বলেছিলাম। তার মানে এই না যে, উড়িয়ে মারতে হবে, শট নিচে রাখতে পারলে ভালো হতো। উপরের অপশন না নিয়ে নিচের অপশন নিলে ভালো হতো।”
প্রস্তুতিতে এগিয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকার মূল খেলোয়াড়দের অনেকেই না থাকায় অভিজ্ঞতায়ও এগিয়ে, এরপরও দুই ম্যাচে এমন বড় হার, মানতে পারছেন না মুমিনুল।
“অধিনায়ক হিসেবে এটা হতাশাজনক। ওদের দলের অনেক মূল খেলোয়াড় নেই। আমার মনে হয়, আমাদের সুযোগ ছিল ভালো, একটা টেস্ট ম্যাচ জেতার। ওই সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। প্রতিপক্ষ দলে অনেক মূল খেলোয়াড় ছিল না। সুযোগগুলো কাজে লাগানো উচিত ছিল।”
“আমরা কোনো দিক থেকে পিছিয়ে ছিলাম না। আমার মনে হয়, আমরা দল হিসেবে কোনোভাবে ভালো খেলতে পারিনি। হারলেও আগের টেস্টে প্রথম ইনিংসে আমরা দল হিসেবে খুব ভালো ব্যাটিং করেছিলাম। কিন্তু পরের তিন ইনিংসে আমরা এর পুনরাবৃত্তি করতে পারিনি। সেশন বাই সেশন ব্যাটিং করা, লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করা, এই ব্যাপারগুলোতে আমরা পিছিয়ে ছিলাম।