এই
বছরের আগে নিউ জিল্যান্ডে কিউইদের বিপক্ষে কোনো সংস্করণেই কোনো জয় ছিল না বাংলাদেশের।
গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সেখানেই ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়ে জয় পায় সবচেয়ে কঠিন সংস্করণে।
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে মুমিনুলরা হারিয়ে দেন আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন
নিউ জিল্যান্ডকে।
দক্ষিণ
আফ্রিকা সফরেও অতীতের বাস্তবতা ছিল একই। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সেখানে কোনো সংস্করণেই
ছিল না জয়। এবারের সফরে শুধু একটি জয় নয়, ওয়ানডে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ। এরপর টেস্ট
সিরিজ নিয়ে আশা বেড়ে যায় আরও। বিশেষ করে, একাগাদা ক্রিকেটার আইপিএলে চলে যাওয়ায় দক্ষিণ
আফ্রিকা পায়নি তাদের প্রথম পছন্দের টেস্ট একাদশের ৫-৬ জনকে।
কিন্তু
সিরিজ শেষে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির ফারাক আকাশ-পাতাল। দুই টেস্টেই বাংলাদেশ হেরে
যায় বিশাল ব্যবধানে। দুই টেস্টেই চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং বিধ্বস্ত হয় দৃষ্টিকটুভাবে।
২০০৭ সালের পর প্রথমবার টানা দুই টেস্টে একশর নিচে স্কোরে গুটিয়ে যায় দল।
মুমিনুল
অবশ্য এরকম পারফরম্যান্সে অবাক নন বলেই মনে হলো। সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ
অধিনায়ক বললেন, বাস্তবতার প্রতিফলনই পড়েছে সিরিজে।
“টেস্ট
এমন একটা খেলা, যেখানে দল হিসেবে প্রতিটি দিনই উন্নতি করতে হবে। এক সেশন ভালো খেললে
হবে না, অথবা ৫ দিনের ৩ দিন ভালো খেললে হবে না। ৫ দিনের ৫ দিনই ভালো খেলতে হবে। এক
সেশন কিংবা দুইটা সেশনে ভুল করতে পারেন, ৫ দিনের ভেতরে বেশির ভাগ সেশনেই ভালো ক্রিকেট
খেলতে হবে।”
“টেস্ট
ক্রিকেটে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। আপনারা এমনভাবে বলছেন, আমরা একটা টেস্ট জিতে
(নিউ জিল্যান্ডে) বিশ্বের সেরা দল হয়ে গেছি। আমার মনে হয়, আমরা টেস্ট ম্যাচ জেতার
আগে যে জায়গায় ছিলাম, এখনও ওই জায়গাতে আছি। হয়তো আপনাদের প্রত্যাশা বেড়েছে, আমাদের
নিজেদেরও বেড়েছে। আমার মনে হয়, আমাদের উন্নতির অনেক জায়গা আছে। অনেক জায়গায় উন্নতি
করতে হবে।”