ক্যাটাগরি

টুখেল বলছেন ‘প্রায় অসম্ভব’, চমকের আশায় কোভাচিচ

স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে গত বুধবার রাতে এক করিম বেনজেমার কাছেই হেরে গিয়েছিল চেলসি। ফরাসি তারকার হ্যাটট্রিকে ৩-১ গোলে জয় তুলে নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ।

তার আগে প্রিমিয়ার লিগে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠেই চেলসি উড়ে গিয়েছিল ৪-১ গোলে। টানা দুই ম্যাচের সেই ব্যর্থতা ঝেড়ে গত শনিবার জয়ে ফিরেছে তারা। প্রিমিয়ার লিগে সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে ৬-০ গোলের জয়ে দলটির শিবিরে ফিরেছে হারানো আত্মবিশ্বাস।

তারপরও মঙ্গলবার সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে হতে যাওয়া হাইভোল্টেজ ম্যাচে দুই গোলের ব্যবধান ঘুঁচিয়ে ফিরে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি দেখছেন না টুখেল। তবে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তার কণ্ঠে ফুটে উঠল শেষ একটা চেষ্টা করে দেখার প্রত্যয়।

“সবকিছুর বিচারে সম্ভাবনা খুব একটা নেই। তবে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে। আর চেষ্টা করার অর্থ হলো আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে খেলব এবং সর্বোচ্চটা দেব… বড় একটা রাত অপেক্ষা করছে।”

“অ্যাওয়ে দল হিসেবে বের্নাবেউয়ে পারফর্ম করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি। বিশেষ করে যদি ফল পক্ষে আনতে হয়…এটি এমন পর্যায় যেখানে আমাদের সামর্থ্যের চেয়েও বেশি দিতে হবে।”

টুখেল মনে করেন প্রথম লেগে তার দল শারীরিক দিক থেকে প্রতিপক্ষের চেয়ে পিছিয়ে ছিল অনেকটা। আর এ জন্য প্রিমিয়ার লিগে তিন জন বদলি খেলানোর নিয়মের দিকে অভিযোগের তীর তার।

“শারীরিক শক্তির দিক থেকে চিন্তা করলে আমরা অনেক অসুবিধার মুখে পড়েছি। রিয়াল মাদ্রিদ পুরো মৌসুমে পাঁচ জন বদলি খেলাতে পেরেছে, তুলনায় আমাদের লিগে শারীরিক ধকল অনেক বেশি (প্রিমিয়ার লিগে বদলি নামানো যায় ৩ জন)।”

“(প্রথম লেগে) পাল্টা আক্রমণে আমরা সংগ্রাম করেছি এবং দৌড়ানোর সময় গতিতে ভুগেছি। আমাদের আরো শারীরিক ফুটবল খেলার উপায় বের করতে হবে।”

ক্রোয়াট মিডফিল্ডার মাতেও কোভাচিচের বিশ্বাস, এখনো তাদের এই লড়াইয়ে জেতার সুযোগ আছে। ২০১১-১২ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সাবেক দলের বিপক্ষে চমক দেখাতে চান ২০১৫-১৯ মেয়াদকালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা এই মিডফিল্ডার।

সেবার শেষ ষোলোর প্রথম লেগে নাপোলির মাঠে ৩-১ গোলে হারলেও ফিরতি লেগে ৪-১ ব্যবধানে জিতেছিল চেলসি। পরে সেই আসরের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার ট্রফি জিতেছিল ইংলিশ ক্লাবটি।

“(প্রথম লেগে) আমরা আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে পারিনি এবং ফলাফলও ভালো হয়নি। তবে এখনো আশা আছে এবং আমরা নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে অনুপ্রাণিত।”

“নাপোলির বিপক্ষে চেলসি ৩-১ গোলে হেরেছিল এবং পরে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। ফুটবল সবসময়ই বিস্ময় উপহার দেয় এবং আমাদের এবার শতভাগেরও বেশি দিতে হবে।”