ডারবান টেস্টে প্রথম ইনিংসে একশ রানের মধ্যে ৪ উইকেট নিয়ে সুর বেঁধে দিয়েছিলেন অফ স্পিনার হার্মার। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ও বাঁহাতি স্পিনার মহারাজ দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দেন স্রেফ ৫৩ রানে।
দ্বিতীয় টেস্টেও প্রথম ইনিংসে দুই জনে নিয়েছেন ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে এরই মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে জাগিয়েছেন ডারবানের পুনরাবৃত্তির আশা।
সেন্ট জর্জেস পার্কে রোববার তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ২৭। মহারাজ নিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট। হার্মার বিদায় করেছেন তামিম ইকবালকে।
জয়ের জন্য এখনও বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩৮৬ রান, যা আসলে দৃষ্টি সীমার অনেক বাইরে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ৭ উইকেট।
দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মাহমুদ বলেন, ছোট ছোট ভুল ম্যাচকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।
“এখানে এসে আমরা স্পিন সামলাতে পারলাম না, এটাই আমার বেশি দুঃখ। আমরা মনে করি, স্পিনে আমরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলি। আমাদের স্পিনাররা যে ওদের ব্যাটসম্যানদের অনেক ভুগিয়েছে, তাও না। হ্যাঁ, তাইজুল (ইসলাম) ৫ উইকেট নিয়েছে, (মেহেদী হাসান) মিরাজ ভালো বোলিং করেছে। মহারাজ কিংবা হার্মার যতটা ভোগাল আমাদের ব্যাটসম্যানদের, আমাদের স্পিনাররা কিন্তু ওদের ব্যাটসম্যানদের ততটা ভোগাতে পারেনি।”
“ওদের পেসারদের কথা যদি বলি, ওরা একটা লাইন ও লেংথে সুশৃঙ্খল ছিল। আমাদেরও পরিকল্পনা ছিল কিন্তু বাস্তবায়নে যথেষ্ট ঘাটতি ছিল। আমাদের পেসাররা যেটা হয়েছে, এই টেস্টেও আগের টেস্টেও, প্রথম দুই ঘণ্টায় যেভাবে বোলিং করার কথা ওরা সেভাবে করতে পারেনি। সেখানেই ম্যাচ অনেক দূরে সরে গেছে। যদি নতুন বলে আমরা দুইটা উইকেট নিতে পারতাম, তাহলে খেলাটা ভিন্নরকম হতে পারতে। ছোট ছোট এই ভুলগুলো দুই টেস্টে আমাদের ভুগিয়েছে।”
ডারবান টেস্টে তাও প্রথম চার দিন লড়াইয়ের একটা ছাপ রাখতে পেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে একবারেই পারেনি, মাহমুদও বললেন সে কথাই।
“তৃতীয় দিন শেষে আমরা যে অবস্থায় আছি, সেটা অবশ্যই ভালো না। গত তিনটা দিনে দক্ষিণ আফ্রিকা আসলে আমাদের ‘আউট প্লেইড’ই করেছে। আমার মনে হয় না, আমরা খুব একটা ভালো বলও করেছি। আমাদের ব্যাটিংয়ে কথা যদি বলি, প্রথম ইনিংসে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এই ইনিংসেও আমরা ব্যর্থ হলাম। মাত্র ৭/৮ ওভারে (আসলে ৯.১ ওভারে) তিন উইকেট পড়ে গেছে।”