সোমবার সকাল ১১টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের
সামনে জেলা শিক্ষক সমিতি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন
করা হয়। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে জেলা শহরের পশ্চিম
মহোদুরীরে নিজ বাসায় শিক্ষক নিজাম উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা।
তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
ঘটনার পরদিন তিনজনকে আসামি করে আহত
শিক্ষকের স্ত্রী আফরীন আক্তার বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তবে এখনও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে আহত শিক্ষকের
স্ত্রী আফরীন আক্তার বলেন, ‘স্থানীয় সন্ত্রাসী শাহাদাৎ হোসেন প্রান্ত, মোয়াজ্জেম হোসেন
ফাহাদসহ হামলাকারীরা সব সময় এলাকায় মাদক, চাঁদাবাজি ও সাধারণ মানুষকে হুমকিধমকি ও ভয়-ভীতি
প্রদর্শন করে। তাদের ভয়ে এলাকার মানুষ স্বাভাবিক চলাফেলা করতে পারে না। তারা যখন যাকে
ইচ্ছে অন্যায়ভাবে মারপিট করে, মানুষের জায়গা জমি দখল করে নেয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা
বাহিনী তাদের এসব অন্যায়-অবিচারের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে না বলেই তারা দিনদিন
আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।’
মানববন্ধনে শিক্ষক নিজাম উদ্দিনের
ওপর হামলাকারীদেরকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
এতে আরও বক্তব্য দেন জেলা শিক্ষক
সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর, কবিরহাট উপজেলা শিক্ষক সমিতির
সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক জাহাঙ্গীর, বানদত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মধুসুধন
নাথ প্রাক্তন শিক্ষার্থী সিহাব উদ্দিন মাহি।
মামলার ব্যাপারে সুধারাম মডেল থানার
ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক নিজাম উদ্দিনের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর
পরই আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।