একই সঙ্গে আদালত তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা
জরিমানা এবং জরিমানা না দিলে আরও এক বছর কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে।
পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.
আহসান তারেক সোমবার বেলা ২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন সদর উপজেলার তারাবাড়িয়া এলাকার
সৈয়দ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪০), আতাইকুলা উপজেলার গাঙ্গুহাট ক্লাবপাড়ার মো.
ইউসুফের ছেলে খোকন (৪২) ও সাঁথিয়া উপজেলার ভদ্রখোলার ইউসুফ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর
হোসেন (৪৫)।
তারা সবাই পলাতক রয়েছেন।
তাছাড়া এ মামলায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা
প্রমাণিত না হওয়ায় ২০ আসামিকে বেখসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
আদালতের পিপি দেওয়ান মজনুল হক মামলার নথির বরাতে
জানান, ২০০৩ সালের ১৩ অগাস্ট সাঁথিয়া উপজেলার খানপুর গ্রামের আবু মুসা খাঁ নামে এক
ব্যক্তিকে ১০-১২ জন কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর তার স্ত্রী সাঁথিয়া থানায় অজ্ঞাত আসামির
বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে পরের বছর ৯ সেপ্টেম্বর ২৩ জনের বিরুদ্ধে
আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১০ জনের সাক্ষ্যসহ শুনানি শেষে তিনজনকে দোষী
সাব্যস্ত করে আদালত এই রায় দেয়।
পিপি বলেন, “নিহত মুসা ও আসামিরা সবাই চরমপন্থার সঙ্গে
যুক্ত ছিলেন। চাঁদার টাকার ভাগ নিয়ে তাদের মধ্যে শত্রুতা তৈরি হয়। এর জেরে তাকে
হত্যা করা হয়।”
তবে আসামিরা কোন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা বলতে
পারেননি পিপি মজনুল হক।
মামলায় আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন আব্দুল মতিন,
রফিকুল ইসলাম আলতাব, আহাদ বাবু ও আব্দুর রউফ।